
সত্তর বছর রাজত্ব করার পর ব্রিটেনের সবচেয়ে দীর্ঘ মেয়াদী শাসক হিসেবে রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ ৯৬ বছর বয়সে প্রয়াত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য নিয়ে উদ্বেগ তৈরি হওয়ায় স্কটল্যান্ডের ব্যালমোরাল প্রাসাদে ছুটে এসেছিলেন রাজপরিবারের সকলেই। ১৯৫২ সালে থেকে সিংহাসন সামলেছেন রানি এলিজাবেথ। তার স্মৃতিতে এখন ব্রিটেন থেকে সারা বিশ্বই শোকস্তব্ধ।

তাঁর জীবদ্দশায় সারা বিশ্বে রানির সম্মানে নানান জায়গা, খাবারের নাম, কেক বা পুরস্কারের নাম দেওয়া হয়েছে। সেইসব নামের তালিকা এখানে দেওয়া রইল।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে কর্মে ও সন্ত্রাসী হামলায় নিহত ব্রিটিশ সেনাদের জন্য একটি মরণোত্তর পুরস্কারের নাম এলিজাবেথ ক্রস। রুপোর তৈরি এই ক্রসটি একটি সার্বভৌম স্বাক্ষরিত স্মারক শহিদ পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়।

২০১২ সালে হীরক জয়ন্তী উপলক্ষ্যে ব্রিটিশ হাউস অফ পার্লামেন্টের ক্লক টাওয়ারটির নাম পরিবর্তন করে দেওয়া হয় এলিজাবেথ টাওয়ার।

বন সংরক্ষণের উদ্যোগে একটি নেটওয়ার্ক, কুইন্স কমনওয়েলথ ক্যানোপি কমনওয়েলথের ৫৪ টি দেশকে জড়িত করে। প্রতিটি রাজার সেবাকে চিহ্নিত করার জন্য মনোনীত জঙ্গলগুলি চিরকালের জন্য সংরক্ষণ করা হয়।

রানি এলিজাবেথ ঘোরদৌড় খুব পছন্দ করতেন। ইউরোপের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ এক মাইস ফ্ল্যাট রেসটি রানির নামানুসারে রাখা হয়। ব্রিটেন, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, হংকং, জাপান এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কেনটাকিতে বেশ কয়েকটি রেসের মধ্যে এটি একটি।

১৯৫৩ সালে অন্টারিওর কিচেনারের সেন্ট ম্যাথিউ'স লুথারান চার্চের মহিলাদের দ্বারা সুন্দর ও সুস্বাদু কেক বানানো হয়। কানাডায় পেস্ট্রি শপ ও বেকরি হিসেবে দারুণ জনপ্রিয়। যার নাম রানি এলিজাবেথ কেক।

হোয়াইট হাউসের পূর্বের রোজ রুমটির নাম কুইন্স বেডরুম। দ্বিতীয় তলের সামনে একটি শয়নকক্ষ রয়েছে। ১৯৬৩ সালে রানির নামানুসারে ঘরটির নাম দেওয়া হয়। ১৯৫৭ সালে চারদিনের জন্য ওই রুমে থেকেছিলেন।

নয়া লন্ডন আন্ডারগ্রাউন্ড ট্রেন লাইনে, ১৯৭৯ সালে খোলা হয়েছিল যেটি, সেটিরই রজত জয়ন্তীর জন্য নতুন নামকরণ করা হয়েছিল। নাম রাখা হয় এলিজাবেথ লাইনস।

ব্রিটেনের সর্বকালের বৃহত্তম এয়ারক্রাফ্ট ক্যারিয়ারের নামকরণ করা হয়েছে রানি এলিজাবেথের নামে। ২০১৪ সালে নিজেই যুদ্ধজাহাজটির নামকরণ করেছিলেন তিনি। বোমোর হুইস্কি বোতল ভেঙে নামকরণ করেছিলেন।