রঙের উত্সবে গুজিয়া, লাড্ডু, ঠান্ডাই, জিলিপি, রাবড়ি না হলে চলে না। তবে হোলির পরে ক্যালোরি ও অপরাধবোধের কী করবেন? শরীরকে উত্সবের আনন্দের মাঝেও শরীরকে ফিট ও সুস্থ রাখতে সুস্বাদু দেশি চিনি ছাড়া মিষ্টির কিছু রেসিপি এখানে দেওয়া রইল।
হোলির ঐতিহ্যবাহী মিষ্টি ছাড়াও এখানে কিছু ফিউশন ট্যুইস্ট মিষ্টির হদিশ দেওয়া রইল। স্বাস্থ্যকর ডেজার্টগুলির মধ্যেই বাড়িতেই কীভাবে বানিয়ে নেবেন চটপট, জেনে নিন
নারকেল আমন্ড লাড্ডু- একটি প্যানের মধ্যে ১ কাপ আমন্ড ভেজে নিন। তারপর সেটি আলাদা গুঁড়ো করে আলাদা করে রেখে দিন। এবার একই প্যানে ২ কাপ গ্রেট করা নারকেল কুঁড়ো নিন। সোনালি রঙ না হওয়া পর্যন্ত ভাজুন ও তেল ছাড়লে তাতে ভাজা ও গুঁড়ো করা আমন্ড দিন। তাতে আধ কাপ গুড় গিয়ে ভাল করে নাড়ুন। হয়ে গে লাড্ডুর আকার দিন।
ড্রাই ফ্রুটসের ক্ষীর- যে কোনও উত্সবেই ক্ষীর বানানো নিয়ম। এবার বানান স্বাস্থ্যকর ক্ষীর। একটি প্যানের মধ্যে ১ লিটার দুধ নিন। দুধ ফুটে ঘ হয়ে এলে আভেন বন্ধ করে দিন। ঠান্ডা হলে তাতে ১ কাপ পেস্তাবাদাম, আধ কাপ খেজুরের গুড় দিয়ে ভাল করে নেড়ে নিন। ক্রিমি ক্ষীর ঠান্ডা ঠান্ডা পরিবেশন করুন।
খেজুর ওটস বরফি- প্রথমে এক লিটার দুদ প্যানে ফুটতে দিন। তাতে ১ কাপ খেজুর নিয়ে ১ কাপ গরম দুধ ভিজিয়ে ব্লেন্ড করে নিন। এবার অন্য একটি প্যানে ওটস ভেজে টান্ডা করুন। দুধ ফুটে কমতে শুরু করলে তাতে গুঁড়ো করা ওটস ভাল করে মিশিয়ে নিন। এবার খেজুরের রস দিন। ভাল করে নেড়ে গ্রিস করা ট্রেতে ঢেলে বরফির আকারে কেটে নিন।
কুমড়োর বরফি- একদম চিনি ছাড়া মিষ্টি তৈরি করতে হলে এই কুমড়োর বরফি বানাতে পারেন। মাঝারি ও ছোট কুমড়ো টুকরো করে কেটে একটি পেস্ট বানা। এবার একটি প্যানে ১ কাপ নারকেল ভাজুন। এবার তাতে কুমড়োর পেস্টটি ২ টেবিল চামচ গুড়ের সঙ্গে রান্না করুন। নারকেল কুঁড়ো যোগ করুন। ভাল করে রান্না পর গ্রিস করা ট্রেতে ছোট ছোট টুকরো করে কেটে পরিবেশন করুন।
ক্রিমি আঞ্জির ক্ষীর- একটি প্যানে এক লিটার দুধ গরম করে ঘন করুন। এবার এক বাটি গরম দুধের মধ্যে আঞ্জির ভিজিয়ে ব্লেন্ড করে নিন। দুধ ঘন হয়ে গেলে আঁচ কমিয়ে আঞ্জির পেস্ট দিয়ে ভাল করে নেড়ে নিন। ক্ষীরের মত হয়ে এলে আমন্ড ফ্লেক্স ছড়িয়ে গরম গরম পরিবেশন করুন।