
প্রণতি নায়েক, ত্রিয়াশা পাল ও প্রতিষ্ঠা সামন্ত। বার্মিংহ্যাম কমনওয়েলথ গেমসে এই তিন বাঙালি অ্যাথলিট অংশগ্রহণ করছেন। এই তিন কন্যের থেকে পদক জয়ের আশা বঙ্গবাসীর। শুধু অ্যাথলিটই নন, বাঙালি হিসেবে বার্মিংহ্যামে থাকছেন জাতীয় জিমন্যাস্টিক্স দলের কোচ বিশ্বেশ্বর নন্দী। সবমিলিয়ে বার্মিংহ্যাম জমজমাট।(ছবি:ফেসবুক)

নদিয়া জেলার মদনপুরের বাসিন্দা বছর কুড়ির তরুণী ত্রিয়াশা পাল। কমনওয়েলথ সাইক্লিংয়ে অংশ নেবেন ত্রিয়াশা। বাংলা থেকে এই প্রথম কোনও সাইক্লিস্ট কমনওয়েলথ গেমসে নামতে চলেছেন। ত্রিয়াশাকে নিয়ে পদকের আশায় বুক বেঁধেছে তাঁর পরিবার-সহ গোটা রাজ্য।(ছবি:ফেসবুক)

২০১৯ সালের এশিয়ান জুনিয়র সাইক্লিং, এশিয়া কাপ সাইক্লিং, জার্মানির ফ্র্যাঙ্কফুটে অনুষ্ঠিত ওয়ার্ল্ড জুনিয়র সাইক্লিং প্রতিযোগিতার অংশ ছিলেন ত্রিয়াশা। তবে কমনওয়েলথ গেমসের পদক বাংলার এই সাইক্লিস্টের কেরিয়ারে বড় পরিবর্তন এনে দেবে।(ছবি:ফেসবুক)

ত্রিয়াশার মতো কমনওয়েলথ গেমসে প্রথমবার পা পড়তে চলেছে প্রতিষ্ঠা সামন্তর। হাওড়ার সাঁতরাগাছির ১৯ বছরের প্রতিষ্ঠা দীপা কর্মকারের কোচ বিশ্বেশ্বর নন্দীর ছাত্রী। ২০১৮ সাল পর্যন্ত বাংলার হয়ে প্রতিনিধিত্ব করার পর বর্তমানে ত্রিপুরার হয়ে জাতীয় স্তরের প্রতিযোগিতায় নামেন প্রতিষ্ঠা।(ছবি:ফেসবুক)

তিনটি আর্টিস্টিক জিমন্যাস্টিক্স বিশ্বকাপ ও দোহা এশিয়ান সিনিয়র জিমন্যাস্টিক্স প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছিলেন প্রতিষ্ঠা। তারপরই বার্মিংহ্যামে যাওয়ার টিকিট পেয়েছেন।(ছবি:ফেসবুক)

অলিম্পিকের ব্যর্থতা কমনওয়েলথ গেমসে পদক জিতে পুষিয়ে নিতে চান জিমন্যাস্ট প্রণতি নায়েক। পিংলার মেয়ে প্রণতি ২০১৪ এবং ২০১৮ সালের কমনওয়েলথ গেমসে অংশ নিয়েছিলেন। বার্মিংহ্যাম কমনওয়েলথে ভল্ট দেওয়ার জন্য নিজেকে তৈরি করেছেন প্রণতি।(ছবি:ফেসবুক)

তবে কমনওয়েলথ গেমস শুরুর ঠিক আগে ধাক্কা খেয়েছেন প্রণতি। রোহিত জয়সওয়ালের পরিবর্তে জাতীয় জিমন্যাস্টিক্স দলের কোচ করা হয়েছে বিশ্বেশ্বর নন্দীকে। রোহিতের তত্ত্বাবধানে থেকে পদক জেতাকে পাখির চোখ করেছিলেন প্রণতি। সামান্য ধাক্কা খেলেও লক্ষ্য থেকে সরে আসবেন না বঙ্গতনয়া।(ছবি:ফেসবুক)

দীপা কর্মকারের মতো জিমন্যাস্টদের উঠে আসা তাঁরই হাত ধরে। জাতীয় দলের কোচ বিশ্বেশ্বর নন্দীর কাছে এবারের কমনওয়েলথ গেমস বেশ চ্যালেঞ্জের। গেমস শুরু হওয়ার মাত্র তিন দিন আগে রোহিত জয়সওয়ালকে হটিয়ে তাঁকে জাতীয় দলের কোচ করা হয়েছে। তাঁর অভিজ্ঞ কোচিংয়ে প্রণতি, প্রতিষ্ঠারা পদকের লক্ষ্যে পৌঁছতে পারেন কি না সেটাই দেখার।(ছবি:ফেসবুক)