Jagadhatri Puja 2022: কৃষ্ণনগর-চন্দননগর ছাড়াও বাংলার বুকে রয়েছে আরও ২টি প্রাচীন ও জনপ্রিয় জগদ্ধাত্রী পুজো!
TV9 Bangla Digital | Edited By: দীপ্তা দাস
Oct 30, 2022 | 10:55 AM
Jagadhatri Puja Celebration: অষ্টাদশ শতকে নদিয়ার জমিদার কৃষ্ণচন্দ্র রায় তাঁর রাজধানী কৃষ্ণনগরে এই পূজার প্রচলন করার পর এর জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পায়। কৃষ্ণচন্দ্রের রাজত্বকালের আগে নির্মিত নদিয়ার শান্তিপুরের জলেশ্বর শিবমন্দির ও কোতোয়ালি থানার রাঘবেশ্বর শিবমন্দিরের ভাস্কর্যে জগদ্ধাত্রীর মূর্তি দেখা যায়।
1 / 9
জগদ্ধাত্রী পূজা প্রথমে কট্টর ভাবেই প্রচলিত ছিল ব্রাহ্মণদের মধ্যে। দেবী সত্ত্বগুণের প্রতীক যা ব্রাহ্মণদের একটি বৈশিষ্ট্য বলে গণ্য করা হয়। দেবীর গলায় থাকে নাগযজ্ঞোপবীত যা স্পষ্টভাবেই ব্রাহ্মণ্যতন্ত্রের পরিচায়ক। আবার, মন্ত্রে এই দেবীকে সাক্ষাৎ ব্রাহ্মণ বলেও অভিহিত করা হয়েছে।
2 / 9
কৃষ্ণনগর রাজবাড়ির জগদ্ধাত্রী পূজার সূচনা ১৭৬৬ সালে। কেউ কেউ আবার কৃষ্ণচন্দ্রের প্রপৌত্র গিরিশচন্দ্রকে কৃষ্ণনগর রাজবাড়ির জগদ্ধাত্রী পূজার প্রবর্তক মনে করেন। কৃষ্ণনগর রাজবাড়ির দরজা জগদ্ধাত্রী পূজার সময় আজও খোলা থাকে। পূজা পুরনো প্রথা মেনে হয় শুধুমাত্র নবমী তিথিতে।
3 / 9
চন্দননগরের জগদ্ধাত্রী পূজার প্রবর্তক ইন্দ্রনারায়ণ চৌধুরী। প্রায় আড়াইশো বছর আগে, কৃষ্ণনগর রাজবাড়ির পূজা দেখে মুগ্ধ হয়ে ইন্দ্রনারায়ণ চন্দননগরের লক্ষ্মীগঞ্জ চাউলপট্টির নিচুপাটিতে জগদ্ধাত্রী পূজার প্রচলন করেন। লক্ষ্মীগঞ্জ প্রতিষ্ঠার কিছুকাল পরেই এই পূজার সূচনা। এই পূজা চন্দননগরে আদি পূজা নামে পরিচিত।
4 / 9
শোনা যায়, বিসর্জনের সময় আদি প্রতিমা জলে পড়লেই শুশুক বা সাপের দেখা পাওয়া যায়। স্থানীয় বিশ্বাসে এই দেবী অত্যন্ত জাগ্রতা। লক্ষ্মীগঞ্জ কাপড়েপট্টির জগদ্ধাত্রী পূজা চন্দননগরে দ্বিতীয় প্রাচীনতম পূজা।
5 / 9
দক্ষিণ চন্দননগরের হালদারপাড়ার আদিপুজো অশ্বত্থতলার বুড়িমার পূজা নামে পরিচিত। এই পূজা লক্ষ্মীগঞ্জ চাউলপট্টি ও কাপড়েপট্টির পূজার সমসাময়িক বলে মনে করা হয়। চন্দননগর কেন্দ্রীয় জগদ্ধাত্রী পূজা কমিটির অনুমোদিত তিনশোর অধিক পূজা হয় । চন্দননগরের আলোকসজ্জা, দেবীমূর্তি ও শোভাযাত্রা বিশ্বখ্যাত।
6 / 9
বাঁকুড়া জেলার জয়রামবাটী গ্রামে রামকৃষ্ণ পরমহংসের সহধর্মিণী সারদা দেবীর জন্মভিটা র জগদ্ধাত্রী পূজা বিশেষ প্রসিদ্ধ। পূজা উপলক্ষে জয়রামবাটীতে প্রচুর ভক্তসমাগম হয়। সারদা দেবীর পৈতৃক বাড়িতে এই পূজার আয়োজন করে রামকৃষ্ণ মিশন। ১৮৭৭ খ্রিষ্টাব্দে সারদা দেবীর পিতৃগৃহে প্রথম জগদ্ধাত্রী পূজার আয়োজন করেছিলেন তার জননী শ্যামাসুন্দরী দেবী।
7 / 9
দুর্গাপূজার মতোই পূজার সঙ্কল্প হয় সারদা দেবীর নামে। জগদ্ধাত্রীর প্রতিমার পাশে জয়া-বিজয়া ও নারদ মুনির প্রতিমা থাকে। নবমীতে ষোড়শোপচারে পূজা, তিন বার চণ্ডীপাঠ ও মাতৃমন্দিরে দরিদ্রনারায়ণ সেবা হয়। দশমীর দিন দশোপচারে পূজা হয়।
8 / 9
নদিয়া জেলার ব্রহ্মশাসন গ্রাম থেকে ধাত্রীগ্রামে এসেছিলেন পণ্ডিত রামভদ্র তর্কসিদ্ধান্ত। টোল খুলে এই গ্রামেই তিনি শুরু করেছিলেন বিদ্যাচর্চা। তাঁর পরিবারের এক সদস্যকে স্বপ্নে রূপ দেখান দেবী জগদ্ধাত্রী। পরে স্নান করতে নেমে পুকুর ঘাটে জলভর্তি ঘড়ার মুখেও সেই একই রূপ প্রত্যক্ষ করেন তিনি। ধাত্রীগ্রামে জগদ্ধাত্রী পুজোর সেই শুরু।
9 / 9
প্রথা অনুযায়ী পুজোর আগের দিন প্রতিমাশিল্পীর বাড়ি থেকে শোভাযাত্রা করে প্রতিমা নিয়ে আসা হয় মণ্ডপে। এর পরে দেবীকে পরানো হয় ডাকের সাজ এবং সোনার গয়না। পুজোর দিন সকাল থেকেই দেবীর কাছে মানত করতে হাজার হাজার মানুষ সমবেত হন মন্দির প্রাঙ্গণে। তাঁদের জন্য মন্দির প্রাঙ্গণেই হয় ভোগরান্না।