
রান্নাঘরে থাকা মশলাগুলোর মধ্যে সবচেয়ে সাধারণ হল জিরে। যে কোনও সবজির তরকারি যেমন এই মশলা ছাড়া অসম্পূর্ণ, তেমনই আয়ুর্বেদেও এই মশলা বিশেষ ব্যবহার রয়েছে। অনেকেই হয়তো জানেন যে, জিরে হজমে সাহায্য করে। কিন্তু এছাড়াও জিরে এমন কিছু গুণাগুণ রয়েছে যা সম্পর্কে খুব একটা আলোচনা করা হয় না।

আয়ুর্বেদিক বিশেষজ্ঞদের মতে, জিরে হজম ক্ষমতা উন্নত করার পাশাপাশি পিরিয়ডের ব্যথা উপশম, স্তন্যদুগ্ধের পরিমাণ বাড়ানো এবং পেটের সমস্যা দূর করতে বিশেষ ভাবে কার্যকর। কিন্তু এর জন্য জিরেকে কীভাবে ব্যবহার করবেন, তা জানা বিশেষভাবে জরুরি।

জিরের মধ্যে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি, অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টি-ফাঙ্গাল বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। কিন্তু এর এই বৈশিষ্ট্যগুলোকে কীভাবে কাজে লাগাবেন, সেটা জেনে নেওয়া যাক...

সদ্যজাত শিশুর খাদ্য হল তার মায়ের দুধ। এটাই তার মধ্যে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তুলতে সাহায্য করে। কিন্তু অনেক মহিলারই প্রসবের পর পর্যাপ্ত দুধ তৈরি হয়। এই ক্ষেত্রে জিরে আপনাকে সাহায্য করতে পারে। গরম দুধে মিছরি ও জিরে মিশিয়ে খেলে অনেক উপকার পাবেন।

ঋতুস্রাবের সময় বেশিরভাগ মহিলাই তলপেটে ব্যথার সম্মুখীন হন। এর সঙ্গে কোমরে ব্যথা, বমি বমি ভাবের সমস্যা দেখা দেয়। এর জন্য ৫০ গ্রাম জিরের পেস্টের সঙ্গে ২৫ গ্রাম গুড় মিশিয়ে ক্যাপসুল তৈরি করুন। এটা পিরিয়ড শুরুর ২-৩দিন আগে তৈরি করুন এবং পিরিয়ডের সময় এটা খান। পিরিয়ডের ব্যথা থেকে অনেকটা আরাম পাবেন।

বদহজমের সমস্যা দেখা দিলে সব সময় জিরে ভেজানো জল পান করবেন। আয়ুর্বেদের মতে, এই উপায় হজম ক্ষমতা উন্নত করতে সাহায্য করে। ২০০ মিলি জলে ২০ গ্রাম জিরে ফুটিয়ে নিন। তারপর ওই জলটা ঠান্ডা হলে ছেঁকে নিয়ে পান করুন।

পেটের যাবতীয় সমস্যা দূর করতে আয়ুর্বেদিক উপায়ে গ্রহণ করুন জিরে। আদা ও শিলা লবণের সঙ্গে জিরের গুঁড়ো মিশিয়ে পান করলে পেটের সমস্যা দূর হয়ে যায়। এর সঙ্গে সামগ্রিক স্বাস্থ্য উন্নত হয়।