Uric Acid: ইউরিক অ্যাসিড নিয়ে চিন্তা? রোজের পাতে রাখুন এই ৫ খাবার
ইউরিক অ্যাসিড বাড়ালেই খাওয়া-দাওয়া ত্যাগ করে দেন অনেকেই। কিন্তু পুষ্টিবিদরা তা আর মানেন না। এখন নির্দিষ্ট কিছু খাবার ছাড়া, পরিমিত সব ধরনের খাবারই খাওয়া যায় ইউরিক অ্যাসিডে। ইউরিক অ্যাসিডে কোন-কোন খাবারগুলো খাওয়া উচিত এবং কোনগুলো এড়িয়ে যাবেন, দেখে নিন...
ইউরিক অ্যাসিড বাড়ালেই খাওয়া-দাওয়া ত্যাগ করে দেন অনেকেই। কিন্তু পুষ্টিবিদরা তা আর মানেন না। এখন নির্দিষ্ট কিছু খাবার ছাড়া, পরিমিত সব ধরনের খাবারই খাওয়া যায় ইউরিক অ্যাসিডে। ইউরিক অ্যাসিডে কোন-কোন খাবারগুলো খাওয়া উচিত এবং কোনগুলো এড়িয়ে যাবেন, দেখে নিন...
ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বেড়ে গেলে প্রচুর পরিমাণে জল পান করুন। দিনে অন্তত ৩-৪ লিটার জল পান করা আবশ্যিক। এর পাশাপাশি রাতে ঘুমানোর আগে এক গ্লাস হলুদ দুধ করুন। এতে ঘুম ভাল হবে।
ভিটামিন সি শরীরের জন্য খুবই প্রয়োজনীয়। শরীরে সংক্রমণ রোধে সাহায্য করে ভিটামিন সি। তাই রোজকারের পাতে রাখুন লেবু। এছাড়া ব্রেকফাস্টের পর এককাপ মুসাম্বির রস খেতে পারেন। এতেও শরীরে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকবে।
ইউরিক অ্যাসিডের সমস্যায় টমেটো ত্যাগ করার দরকার নেই। বরং টমেটোর বীজগুলো ফেলে খান। টমেটোর বীজে থাকে নাইট্রোজেন আর ফসফরাস- যা ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। এছাড়াও টমেটোর মধ্যে থাকে ভিটামিন সি। যা শরীরের একাধিক কাজে লাগে। তাই নিয়ম মেনে টমেটো খেতে পারেন।
বাঁধাকপির মধ্যে প্রোটিন, শর্করার ভাগ কম। প্রয়োজনের তুলনায় বেশি থাকে খনিজ লবণ, ভিটামিন। এছাড়াও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, আয়রন, ক্যালশিয়াম, ক্যারোটিন রয়েছে। এছাড়াও থাকে ফ্ল্যাভিনয়েড। যে কারণে শরীরে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।
শসা আর গাজরের মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। এছাড়াও শসা, গাজরের মধ্যে কোনও রকম ক্যালোরি নেই। থাকে প্রচুর পরিমাণ ফাইবার। শরীরের প্রয়োজনীয় হরমোন নিয়ন্ত্রণে রাখতেও ভূমিকা আছে এই সব সবজির। আর তাই রোজের ডায়েটে রাখুন স্যালাদ।
পুষ্টিবিদদের মতে, ইউরিক অ্যাসিড বাড়লে এমন খাবার এড়ানো উচিত যা ওজন বাড়িয়ে দেয়। এর জন্য কেচাপ, টেট্রা প্যাক জুস, চকলেট, চিপস, বিস্কুট, আইসক্রিম, সব ফ্যাটি খাবার এবং প্রায় সব প্যাকেটজাত খাবার এড়িয়ে চলুন। এছাড়া সীমিত পরিমাণে ডাল খান।