
বর্তমানে সুস্থ থাকাটাই একটি চ্যালেঞ্জের সমান হয়ে গিয়েছে। বিশেষ করে শীতকালে স্বাস্থ্যের প্রতি বিশেষ যত্ন নিতে হয়। তা সে শিশুই হোক কিংবা প্রবীণ। বিভিন্ন মারাত্মক ভাইরাসের দৌরাত্ম্যের সময়কালে সকলের স্বাস্থ্যের প্রতি বিশেষ যত্ন নেওয়া প্রয়োজন।

শীতের সময় স্বাভাবিকভাবেই জল কম পান করা হয়। আর তাতে সামগ্রিক স্বাস্থ্যের উপর মারাত্মক প্রভাব তৈরি করে। বিশেষজ্ঞদের মতে, শীতে তাপমাত্রা কমে যাওয়ায় শরীর শুষ্ক থাকে। যার কারণে মানুষের পিপাসার মাত্রা কমে যায়। জল না খাওয়া বা কম জল পান করার কারণে শরীর ডিহাইড্রেটেড হয়ে যায়

তাই শীতকালেও পর্যাপ্ত পরিমাণে জল পান করার পরামর্শ দেওয়া হয়। পাশাপাশি, শীতকালে এমন অনেক ফল পাওয়া যায় যেগুলোতে প্রচুর পরিমাণে জল থাকে, যা শরীরের জলের ঘাটতি মেটাতে সাহায্য করে। এর মধ্যে একটি হল পেয়ারা। এই মরসুমি ফল স্বাস্থ্যের জন্য আশীর্বাদের চেয়ে কম কিছু নয়।

সর্দি-কাশি প্রতিরোধ করে: শীতের দিনে সর্দি-কাশির সমস্যা বেশি দেখা দেয়। পেয়ারা এবং এর পাতায় উপস্থিত ভিটামিন সি এবং আয়রন সর্দি-কাশি থেকে মুক্তি পেতে সাহায্য করে। তবে কাশি হলে পাকা পেয়ারা খাওয়া উচিত নয়। এছাড়া কাঁচা পেয়ারা খেলে শ্লেষ্মা কমে। তাই শীতকালে পেয়ারা অবশ্যই খাওয়া উচিত।

কোষ্ঠকাঠিন্যে উপশম করে: দুর্বল জীবনযাপন ও খাদ্যাভ্যাসের কারণে বর্তমানে অধিকাংশ মানুষ কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা ভোগেন। যদি কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় ভুগে থাকেন এবং এর থেকে মুক্তি পেতে চান, তাহলে প্রতিদিন একটি করে পেয়ারা খান। এছাড়া শীতকালে পেয়ারা খেলে হজম প্রক্রিয়া শক্তিশালী হয়। পেয়ারায় প্রচুর পরিমাণে ডায়েটারি ফাইবার থাকে, তাই প্রতিদিন সকালে পেয়ারা খাওয়ার পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা।

ইমিউন সিস্টেম শক্তিশালী রাখে: শীতের মরসুমে পেয়ারা খেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও শক্তিশালী থাকে, তাই ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার খাওয়ার পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা। কিন্তু আপনি যদি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী রাখতে চান, তাহলে অবশ্যই পেয়ারা খান, পেয়ারা খাওয়া স্বাস্থ্যের উপর অনুকূল প্রভাব ফেলে।

ডায়াবেটিসে উপকারী: ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণ করতে পেয়ারার গুণের শেষ নেই। খাওয়ার পর পেয়ারা পাতা দিয়ে তৈরি চা পান করলে ব্লাড সুগার কমে যায়। পেয়ারায় কম গ্লাইসেমিক ইনডেক্স থাকায় রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়াতে বাধা দেয়। পেয়ারা ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য খুবই উপকারী।

ওজন কমাতে কার্যকর: যারা ওজন কমাতে চান তাদেরও পেয়ারা খাওয়া উচিত। ওজন নিয়ন্ত্রণ করতে রোজ একটি করে পেয়ারা খান। এতে ক্যালরির পরিমাণ খুবই কম পাওয়া যায়, তাই পেয়ারা খেলে অনেকক্ষণ পেট ভরা থাকে। পেয়ারাতে চিনির পরিমাণও খুব কম, যার কারণে স্থূলতা বাড়ে না।