Ambubachi Mela 2023: অম্বুবাচী কীভাবে পালন করা হয়? টানা তিনদিন কোন কোন কাজে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে, জানেন না অনেকেই

TV9 Bangla Digital | Edited By: দীপ্তা দাস

Jun 22, 2023 | 3:57 PM

Kamakhya Temple: হিন্দু পঞ্জিকা মতে, প্রতি আষাঢ় মাসের ৭ থেকে ১০ তারিখ পর্যন্ত চলে অম্বুবাচী ব্রত। পুরাণ মতে, ভূদেবী রজঃস্বলা হন এই সময়। ভূদেবী হলেন জগন্নাথদেবের স্ত্রী। পুরীর মন্দিরে এদিন রূপোর ভূদেবীর মূর্তি দেখা যায়। প্রতি বছর এই সময় কামাখ্যাদেবী ঋতুমতী হন।

1 / 10
আষাঢ় মাসের মৃগ শিরা নক্ষত্রের তিনটি পদ শেষ হলে ধরিত্রী ঋতুময়ী হয়ে ওঠেন। এই সময়কালকেই অম্বুবাচী পালন করা হয়। জ্যোতিষশাস্ত্র মতে, সূর্য মিথুন রাশিতে গমন করার সময়কালের পরবর্তী সময়কালকেই অম্বুবাচী পালন করা হয়।

আষাঢ় মাসের মৃগ শিরা নক্ষত্রের তিনটি পদ শেষ হলে ধরিত্রী ঋতুময়ী হয়ে ওঠেন। এই সময়কালকেই অম্বুবাচী পালন করা হয়। জ্যোতিষশাস্ত্র মতে, সূর্য মিথুন রাশিতে গমন করার সময়কালের পরবর্তী সময়কালকেই অম্বুবাচী পালন করা হয়।

2 / 10
হিন্দু পঞ্জিকা মতে, প্রতি আষাঢ় মাসের ৭ থেকে ১০ তারিখ পর্যন্ত চলে অম্বুবাচী ব্রত। পুরাণ মতে, ভূদেবী রজঃস্বলা হন এই সময়। ভূদেবী হলেন জগন্নাথদেবের স্ত্রী। পুরীর মন্দিরে এদিন রূপোর ভূদেবীর মূর্তি দেখা যায়। প্রতি বছর এই সময় কামাখ্যাদেবী ঋতুমতী হন।

হিন্দু পঞ্জিকা মতে, প্রতি আষাঢ় মাসের ৭ থেকে ১০ তারিখ পর্যন্ত চলে অম্বুবাচী ব্রত। পুরাণ মতে, ভূদেবী রজঃস্বলা হন এই সময়। ভূদেবী হলেন জগন্নাথদেবের স্ত্রী। পুরীর মন্দিরে এদিন রূপোর ভূদেবীর মূর্তি দেখা যায়। প্রতি বছর এই সময় কামাখ্যাদেবী ঋতুমতী হন।

3 / 10
৫১ শক্তিপীঠের মধ্যে অন্যতম ও ৪ আদি শক্তিপীঠের মধ্য়ে একটি হল কামাখ্যা মন্দির। পুরাণ অনুযায়ী, এই শক্তিপীঠেই দেবীর শরীরের যোনি  অংশ পড়েছিল। আর তাই এই পীঠে দেবীর যোনি পুজো করা হয়।

৫১ শক্তিপীঠের মধ্যে অন্যতম ও ৪ আদি শক্তিপীঠের মধ্য়ে একটি হল কামাখ্যা মন্দির। পুরাণ অনুযায়ী, এই শক্তিপীঠেই দেবীর শরীরের যোনি অংশ পড়েছিল। আর তাই এই পীঠে দেবীর যোনি পুজো করা হয়।

4 / 10
পুজোর রীতি অনুসারে, অম্বুবাচীর প্রথম দিন থেকেই কামাখ্যা দেবীকে লাল কাপড় বা ওড়না অর্পন করা হয়। লোকবিশ্বাস, দেবীকে লাল অর্পন করা হলে ভক্তদের ইচ্ছেপূরণ হয়।

পুজোর রীতি অনুসারে, অম্বুবাচীর প্রথম দিন থেকেই কামাখ্যা দেবীকে লাল কাপড় বা ওড়না অর্পন করা হয়। লোকবিশ্বাস, দেবীকে লাল অর্পন করা হলে ভক্তদের ইচ্ছেপূরণ হয়।

5 / 10
এদিন প্রতিমার চারপাশে সাদা কাপড় বিছিয়ে দেওয়া হয়। তিন দিন পর মন্দিরের দরজা খোলা হলে সেই কাপড় লাল রঙে ভিজে যায সেই রক্তভেজা কাপড়ের এক টুকরো পেতে হুড়োহুড়ি লেগে যায় ভক্তদের মধ্যে। এই কাপড়ই প্রসাদ হিসেবে ভক্তদের মধ্যে বিলিয়ে দেওয়া হয়।

এদিন প্রতিমার চারপাশে সাদা কাপড় বিছিয়ে দেওয়া হয়। তিন দিন পর মন্দিরের দরজা খোলা হলে সেই কাপড় লাল রঙে ভিজে যায সেই রক্তভেজা কাপড়ের এক টুকরো পেতে হুড়োহুড়ি লেগে যায় ভক্তদের মধ্যে। এই কাপড়ই প্রসাদ হিসেবে ভক্তদের মধ্যে বিলিয়ে দেওয়া হয়।

6 / 10
টানা তিনদিন কামরূপ কামাখ্যা বি্শেষ পুজো করা হয়। তবে এই তিনদিন দেবী মন্দিরের দরজা বন্ধ রাখা হয়। তবে এই তিনদিন অম্বুবাচী ব্রত পালন করা হয়, সেই কদিন যে কোনও মাঙ্গলিক কাজর্ম পালন করা নিষিদ্ধ। গৃহপ্রবেশ, বিবাহ, অন্নপ্রাশন, উপনয়নের মতো শুভ কাজ করা নিষিদ্ধ।

টানা তিনদিন কামরূপ কামাখ্যা বি্শেষ পুজো করা হয়। তবে এই তিনদিন দেবী মন্দিরের দরজা বন্ধ রাখা হয়। তবে এই তিনদিন অম্বুবাচী ব্রত পালন করা হয়, সেই কদিন যে কোনও মাঙ্গলিক কাজর্ম পালন করা নিষিদ্ধ। গৃহপ্রবেশ, বিবাহ, অন্নপ্রাশন, উপনয়নের মতো শুভ কাজ করা নিষিদ্ধ।

7 / 10
শুধু তাই নয়, এই সময় কৃষিকাজ করাও বন্ধ রাখা হয়। বীজবপন, পিতৃতর্পন, ভূমি কর্ষণ, বেদ পাঠ করাও বন্ধ রাখা হয়। তিনদিন ধরে গ্রামবাংলার বিধবা মহিলারা ব্রত-উপবাস পালন করে থাকেন।

শুধু তাই নয়, এই সময় কৃষিকাজ করাও বন্ধ রাখা হয়। বীজবপন, পিতৃতর্পন, ভূমি কর্ষণ, বেদ পাঠ করাও বন্ধ রাখা হয়। তিনদিন ধরে গ্রামবাংলার বিধবা মহিলারা ব্রত-উপবাস পালন করে থাকেন।

8 / 10
অম্বুবাচী ব্রত যাঁরা পালন করে থাকেন, তাঁরা আগের দিনই প্রয়োজনীয় খাবার রান্না করে রাখেন। এই তিনদিন আগুনের আঁচে রান্না করা কোনও খাবারই মুখে তোলেন না। শাস্ত্র অনুযায়ী, সূর্যের তাপে খাবার গরম করার প্রথা রয়েছে।

অম্বুবাচী ব্রত যাঁরা পালন করে থাকেন, তাঁরা আগের দিনই প্রয়োজনীয় খাবার রান্না করে রাখেন। এই তিনদিন আগুনের আঁচে রান্না করা কোনও খাবারই মুখে তোলেন না। শাস্ত্র অনুযায়ী, সূর্যের তাপে খাবার গরম করার প্রথা রয়েছে।

9 / 10
যাঁরা এই সময় ব্রহ্মচর্য ব্রত পালন করে থাকেন, তাঁরা পুরোপুরি নিরামিষ খাবার খান। আবার অনেকে এই সময় বিভিন্ন ধরনের ফল খেয়ে ব্রত পালন করে থাকেন। বাংলা, অসমের পাশাপাশি ওড়িশাতেও অম্বুবাচী পালন করা হয়। তবে সেখানে একে রজ উত্সব নামে পরিচিত।

যাঁরা এই সময় ব্রহ্মচর্য ব্রত পালন করে থাকেন, তাঁরা পুরোপুরি নিরামিষ খাবার খান। আবার অনেকে এই সময় বিভিন্ন ধরনের ফল খেয়ে ব্রত পালন করে থাকেন। বাংলা, অসমের পাশাপাশি ওড়িশাতেও অম্বুবাচী পালন করা হয়। তবে সেখানে একে রজ উত্সব নামে পরিচিত।

10 / 10
অম্বুবাচী ব্রত পালনের প্রথম দিন থেকেই বিশেষ পুজো করা হয়। তিনদিনের এই পর্বের প্রথম দিনটিকেই পহিলি রজ নামে পরিচিত। দ্বিতীয় দিন থেকে শুরু হয় মিথুন মাস। তাই একে মিথুন সংক্রান্তিও বলা হয়। তৃতীয় দিনটি হল বাসি রজ। চতুর্থদিনে  পালন করা হয় বসুমতী স্নান।

অম্বুবাচী ব্রত পালনের প্রথম দিন থেকেই বিশেষ পুজো করা হয়। তিনদিনের এই পর্বের প্রথম দিনটিকেই পহিলি রজ নামে পরিচিত। দ্বিতীয় দিন থেকে শুরু হয় মিথুন মাস। তাই একে মিথুন সংক্রান্তিও বলা হয়। তৃতীয় দিনটি হল বাসি রজ। চতুর্থদিনে পালন করা হয় বসুমতী স্নান।

Next Photo Gallery