Diabetes Remedy: আর ওষুধ নয়, এবার ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণে থাকবে ঘরোয়া উপায়েই! রোজ খান এই চেনা গাছের পাতার রস
Ayurveda Home Remedies: ডায়াবেটিস একটি গুরুতর ও দুরারোগ্য একটি রোগ। বর্তমানে ডায়াবেটিসের প্রভাব এখন প্রত্যেক ঘরে ঘরে। সমীক্ষা বলছে, ভারতে সুগার রোগ দ্রুত হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। যার কারণে সারা বিশ্বে ভারতকে ডায়াবেটিসের রাজধানী বলা হয়।
ডায়াবেটিস একটি গুরুতর ও দুরারোগ্য একটি রোগ। বর্তমানে ডায়াবেটিসের প্রভাব এখন প্রত্যেক ঘরে ঘরে। সমীক্ষা বলছে, ভারতে সুগার রোগ দ্রুত হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। যার কারণে সারা বিশ্বে ভারতকে ডায়াবেটিসের রাজধানী বলা হয়।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) অনুসারে, ভারতে আনুমানিক ৭৭ মিলিয়ন মানুষ সুগারের আক্রান্ত। এছাড়া যাদের বয়স ১৮ বছরের বেশি বয়স, তাদের মধ্যে টাইপ ২ ডায়াবেটিসের আক্রান্ত। প্রায় ২৫ মিলিয়ন মানুষ প্রিডায়াবেটিসে ভুগছেন।
ডায়াবেটিসের কোনও স্থায়ী নিরাময় নেই। সে কারণেই এটি নিয়ন্ত্রণে রাখা খুবই জরুরি। ডায়াবেটিসের মারাত্মক রূপ শরীরের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের ক্ষতি করে, এমনকি মৃত্যু পর্যন্তও হতে পারে। ডায়াবেটিস প্রতিরোধের ব্যবস্থার মধ্যে রয়েছে স্বাস্থ্যকর খাবার,অর্থাত কম গ্লাইসেমিক সূচকযুক্ত খাবার খাওয়া ও নিয়মিত ব্যায়াম করা।
ডায়াবেটিস রোগীদের ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য অনেক ঘরোয়া উপায় রয়েছে, যেগুলি নিয়ম মেনে খাওয়া হলে টাকা খরচ করে ট্যাবলেট কেনার প্রয়োজন হবে না। ঘরোয়া উপায় মানেই টোটকা এমনটা নয়। আয়ুর্বেদ মতে, আমাদের চারিপাশেই রয়েছে বিভিন্ন ধরনের উপকারী গাছ, যার পাতার রস ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখার মোক্ষম দাওয়াই।
কারি পাতা: কারি পাতা খাবারে স্বাদ বৃদ্ধির জন্য প্রয়োজন হয়। তবে NCBI-এর রিপোর্ট অনুযায়ী, ডায়াবেটিসের ক্ষেত্রে কারি পাতা খাওয়া রক্তে শর্করার মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার, যা হজমশক্তিকে ধীরে ধীরে উন্নত করে ও দ্রুত বিপাক প্রক্রিয়াকে স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য করে। তাতে রক্তে শর্করাকে নিয়ন্ত্রণে রাখে। কারি পাতা ইনসুলিন বাড়াতেও দারুণ কাজ করে।
ইনসুলিন প্ল্যান্ট: ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য ইনসুলিন প্ল্যান্ট ওষুধের চেয়ে কম নয়। NCBI-এর এক গবেষণায় বলা হয়েছে, এই গাছের পাতা খেলে রক্তে শর্করার মাত্রা কমতে পারে। গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে এই গাছের পাতা চিবিয়ে বা ফুটিয়ে রস করে খেলে ডায়াবেটিস রোগীদের রক্তে শর্করার মাত্রা কমে যায়।
আম পাতা: আমের পাতায় রয়েছে এনজাইম ম্যাঙ্গিফেরিন, যা আলফা গ্লুকোসিডেসকে বাধা দেওয়ার ক্ষমতা রাখে। অন্ত্রে কার্বোহাইড্রেট বিপাক কমাতে সাহায্য করে এবং রক্তে শর্করার বৃদ্ধি রোধ করে। ইনসুলিন বৃদ্ধি ও গ্লুকোজ নিয়ন্ত্রণ করার জন্য সঠিক ওষুধ হল আম পাতা। আমের পাতায় পেকটিন, ভিটামিন সি এবং ফাইবারও থাকে। এই দুটি একসঙ্গে ডায়াবেটিস ও কোলেস্টেরল উভয়ের জন্যই উপকারী।
তুলসী পাতা: তুলসী গাছ আয়ুর্বেদের সবচেয়ে শক্তিশালী ওষুধ হিসেবে পরিচিত। শুধু ধর্মীয় গুরুত্বই নয়, অনেক মারাত্মক রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করার ক্ষমতা রয়েছে এই পবিত্র তুলসীর। যদি প্রাকৃতিকভাবে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করতে চান তাহলে রোজ জলের মধ্যে তুলসী ফুটিয়ে সেই জল খেতে পারেন। তুলসী পাতার রস রক্তে শর্করার মাত্রা কমাতে অনেক সাহায্য করে।
পেয়ারা পাতা: NCBI-তে প্রকাশিত একটি সমীক্ষা অনুসারে, পেয়ারা পাতার রস রক্তে শর্করার মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, পেয়ারা পাতার রস আলফা-গ্লুকোসিডেসের ক্রিয়াকে বাধা সৃষ্টি করতে সাহায্য করে। পেয়ারা পাতা গরম জলেতে সেদ্ধ করে চায়ের মতো পান করতে পারেন।