
শীত যাওয়ার মুখে ঘরে ঘরে মানুষ সর্দি-কাশিতে আক্রান্ত। জ্বরের সঙ্গে বেশ ভোগাচ্ছে খুসখুসে কাশি। কফ সিরাপ কিংবা প্যারাসিটামল খেয়ে খুব একটা উপকার পাওয়া যাচ্ছে না। এক্ষেত্রে আপনি আদার সাহায্য নিতে পারেন।

আয়ুর্বেদ চিকিৎসা শাস্ত্রে, ব্যাপকভাবে আদা ব্যবহার করা হয়। আয়ুর্বেদিক বিশেষজ্ঞদের মতে, আদা খেলে আপনি শীতের যাবতীয় রোগের হাত থেকে দূরে থাকতে পারবেন। অন্যদিকে, কাশির সমস্যায় আপনার ধারের কাছে ঘেঁষবে না।

সাধারণত আদা দিয়ে চা পান করেন বেশিরভাগ মানুষ। তাছাড়া রোজের খাদ্যতালিকায় নানা উপায়ে আদা ব্যবহার করা হয়। কিন্তু স্বাস্থ্য উপকারিতা পেতে সঠিক উপায়ে আদা ব্যবহার করা জরুরি।

আদা চায়ের সঙ্গে আদার জল খেতে পারেন। এতেও খুসখুসে কাশির সমস্যা দূর করা যায়। এক ইঞ্চি তাজা আদা গ্রেট করে নিন। এটা এক গ্লাস জলে ৩-৫ মিনিট ফুটিয়ে নিন। আদা ছেঁকে নিয়ে ওই জলটা পান করুন।

মূলত ইমিউনিটি দুর্বল হওয়ার কারণে ঘন ঘন রোগে আক্রান্ত হন। রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা বাড়াতে আপনি আদাকে ব্যবহার করতে পারেন। এক লিটার জলে অর্ধেক চামচ শুকনো আদার গুঁড়ো মিশিয়ে নিন। এবার এই জলটা ফুটিয়ে নিন। এবার ওই জলটা ঠান্ডা করে সারাদিন ধরে খান।

বদহজমের সমস্যা দূর করার ক্ষেত্রেও আদা দারুণ কার্যকর। বদহজমের সমস্যা দূর করতে বাটারমিল্কও উপকারী। বাটারমিল্কের সঙ্গে যদি শুকনো আদা মিশিয়ে পান করতে পারেন তাহলেই গ্যাস, অম্বলের সমস্যা থেকে মুক্তি।

ওজন কমাতেও আপনি আদার সাহায্য নিতে পারেন। এক চামচ আদার রসের সঙ্গে ১ চামচ মধু মিশিয়ে দিন। এতে এক চিমটে নুন ও কয়েক ফোঁটা লেবুর রস মিশিয়ে নিন। এই মিশ্রণটি খাবার খাওয়ার আগে খেলে ওজন কমতে পারে।

শরীর থেকে দূষিত পদার্থ দূর করতেও আপনি আদার সাহায্য নিতে পারেন। জিরে, ধনে ও মৌরি শুকনো কড়াইতে ভেজে জলে ভিজিয়ে রাখুন। ওই জলে আদার কুচিও মিশিয়ে দিন। সকালে খালি পেটে আপনি এই জল পান করুন।