রান্নাঘরে বেকিং সোডার অনেক কাজ। কিন্তু এই উপাদান দিয়ে রূপচর্চা করার কথা কখনও ভেবেছেন? বেকিং সোডার মধ্যে অ্যালকালিনে রয়েছে, যা ত্বকের পিএইচ স্তরের মাত্রা বজায় করে। পাশাপাশি এটি ত্বককে এক্সফোলিয়েট করে।
ত্বকের যে কোনও ধরনের সংক্রমণের হাত থেকে রক্ষা করে বেকিং সোডা। বেকিং সোডার মধ্যে অ্যান্টি-ফাঙ্গাল ও অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল উপাদান রয়েছে। তাই বেকিং সোডা ব্যবহার করে, আপনি ত্বকের একাধিক সমস্যা রুখে দিতে পারেন।
বেকিং সোডা ত্বকের অতিরিক্ত তেল, ধুলোবালি, ময়লা পরিষ্কার করতে দারুণ কার্যকর। কিন্তু অনেকেই বুঝতে পারেন না যে, বেকিং সোডাকে কীভাবে ত্বকের উপর ব্যবহার করবেন। রইল টিপস।
ব্রণর দাগ দূর করতে দারুণ কার্যকর বেকিং সোডা। জলের সঙ্গে বেকিং সোডা মিশিয়ে ঘন পেস্ট বানিয়ে নিন। এবার এই মিশ্রণটা দিনে ৩-৪ বার ব্রণর দাগের উপর লাগান। এতে ব্রণর দাগ ধীরে ধীরে কমে যাবে।
গরমে ত্বকের উপর জ্বালাভাব, র্যাশের সমস্যা সবচেয়ে বেশি দেখা যায়। নারকেল তেলের সঙ্গে বেকিং সোডা মিশিয়ে ত্বকের উপর লাগান। দিনে দু'বার এই মিশ্রণটি ব্যবহার করতে পারেন। বেকিং সোডার মধ্যে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান রয়েছে, যা ত্বকের প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে।
কড়া রোদে বেরিয়ে ত্বক পুড়ে গিয়েছে? সানবার্নের সমস্যা দূর করতেও কার্যকর বেকিং সোডা। ঠান্ডা জলে বেকিং সোডা মিশিয়ে সানবার্নের উপর লাগাতে পারেন। কিছুক্ষণ রেখে ধুয়ে ফেলুন।
সানবার্নের পাশাপাশি ট্যানও দূর করে দেয় বেকিং সোডা। বেকিং সোডার সঙ্গে জল ও ভিনিগার মিশিয়ে ত্বকের উপর লাগান। ৫-১০ মিনিট রাখুন। তারপর জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে ২ বার আপনি এই প্যাক ব্যবহার করতে পারেন।
ব্ল্যাকহেডসের সমস্যা দূর করতে কার্যকর বেকিংসোডা। বেকিং সোডায় জল মিশিয়ে ত্বকের উপর হালকা হাতে স্ক্রাব করুন। তারপর মুখ ধুয়ে ফেলুন। এতে আপনার ব্ল্যাকহেডস ও হোয়াইটহেডসের সমস্যাও দূর হয়ে যাবে।