
সারাদিন ঘুরে বেড়িয়ে হোটেল ঢুকেই ডিনার সেরে পরের দিন কোথায় যাবেন তার তোড়জোড় করা বাঙালিদের একটা ট্রেন্ড। তবে এবার গতানুগতিক জীবনযাত্রায় গা না এলিয়ে নাইটলাইফকে এনজয় করতে বেরিয়ে পড়তে পারেন রোমাঞ্চের হদিশে।

মুম্বই: নাইটপার্টি-সহ শহুরে জীবনযাপনের পুরো রসদ মজুত রয়েছে এ শহরে। ভারের মায়াবী এই শহরের প্রাণবন্ত পার্টিতে এমনও হতে পারে, বলিউডের তারকাদের সঙ্গে এক ফ্লোরে আপনিও ডিস্কে নাচছেন। মেরিন ড্রাইভ বা নরিমন পয়েন্টে গাড়া চালানোও যদিও এক রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতা।

গোয়া: ভ্রমের জন্য যেমন সেরা, তেমনি নাইটলাইফ নিয়ে অভিজ্ঞতা অর্জন করতে গেলে গোয়ায় একবার যেতেই হবে। দেশের সেরা নাইটপার্টির জন্য বিখ্যাত এই শহরের সমুদ্রের সৈকতই নাইটপার্টির জন্য সেজে ওঠে। চাঁদের আলোয় ডিস্কো, র্যাভ নাইটস -সবই চলে এখানে।

দিল্লি: সূর্য ডোবার পর থেকেই রাজধানীর রূপ আরও মায়াবী হয়ে ওঠে। ঠান্ডা পাব বা লাইভ মিউজিক বা জনপ্রিয় ঐতিহাসিক স্মৃতিসৌধের দৃ্যের সঙ্গে পছন্দের রেস্তোরাঁয় ডিনার করতে করতে কখন যে রাতে কেটে যাবে তা বুঝতেই পারবেন না। এখানে অনেক শপিং মল গভীর রাত পর্যন্ত খোলা থাকে।

পুনে:শিক্ষার্থীদের জন্য ভারতের অন্যতম সেরা স্থান। বিশ্বমানের শিক্ষা, কেরিয়ার আর প্রাণবন্ত নাইটলাইফ। শহরে প্রচুর ডিস্কো, ক্লাব ও পাব রয়েছে, যেখানে সারারাত আপনি মিউজিকের সঙ্গে তাল মিলিয়ে নেচেই যেতে পারবেন। রক কনসার্ট, লাইভ পরফরম্যান্সের মতো বিনোদনমূলক অনেক বিকল্প এ শহরে রয়েছে।

জয়পুর: ভাবছেন গোলাপি শহর ও নাইট লাইফের কোনও সম্পর্ক নেই! রাজপুত দূর্গ ও ইতিহাস সমৃদ্ধ এই শহরে রঙিন সংস্কৃতিও রয়েছে। হারতের সেরা ১০ নাইটলাইফ শহরগুলির মধ্যে জয়পুর হল রাজকীয় ঐশ্বর্যে ভরা নাইটপার্টির জন্য পরিচিত।

চণ্ডিগড়: অতি-আধপনিক পরিবেশের সঙ্গে যদি নিজেকে মেলাতে চান. তাহলে চণ্ডিগড় হল সেই শহর। বার, ক্লাব ও পাব ছাড়াও এখানে নাই লাইফ অভিজ্ঞতা নেওয়া অবিস্মরণীয় হয়ে থাকবে। অভিনব পানীয়, বিয়ারের ফোয়ারা, স্মোকি হুইস্কি আর হাই-এন্ড রেস্তোরাঁর অভিজ্ঞতা নিতে চণ্ডিগড় হল দেশের অন্যতম সেরা জায়গা।