
ছুটি পেলেই সিমলা, সিকিম, আগ্রা,জয়পুর,তাজমহল গোয়ার মত জনপ্রিয় জায়গাগুলি ঘুরে আসেন। কিন্তু সত্যিকারে ভারতকে দেখার ম ত দেখতে হলে যেতে হবে অফবিট জায়গায়।

অফবিট জায়গায় যাব কেন? এক স্থানীয় জায়গাগুলিতে আর্থিক উন্নতি ও স্থানীয়দের উত্সাহিত করার জন্য যাওয়া উচিত। সঙ্গে না দেখা, না চেনা জায়গার রোমহর্ষক অনুভূতি সঞ্চয় করা প্রয়োজন। সাধারণ পর্যটকদের মত না ভেবে স্থানীয় মানুষ ও সংস্কডতিকে জানার আগ্রহ থাকলে বেড়িয়ে পড়ুন ব্যাকপ্যাক নিয়ে।

খেচেওপালরি লেক, সিকিম: পশ্চিমে নেপাল, পূর্বে ভূটান., উত্তরে তিব্বতের সীমান। ঐতিহ্যবাহী ভারতে এমন সুন্দর রাজ্য দুটি নেই। এই হ্রদটির অনেক রহস্য রয়েছে। হিন্দু ও বৌদ্ধরা এই লেকটিকে পবিত্র বলে মনে করেন। এখানে স্নান করা, মাছ ধরার কোনও নিয়ম নেই।

কুমায়ুন গ্রামের হোমস্টে, উত্তরাখণ্ড: কুমায়ুন হল একটি নিজস্ব পৃথিবী। গোটা উপত্যকা দেখার জন্য রয়েছে এক প্রাণবন্ত প্রকৃতির সৌন্দর্য। যা চিরকালের জন্য আপনাকে পাহাড়ে থেকে যাওয়ার মন টানবে। দেওড়া গ্রামের হোমস্টেগুলি ঐতিহ্যবাহী দ্বিতল কুমাওনি বাড়ি। আর তার বিপরীতেই রয়েছে উজ্জ্বল নীল আকাশ আর পাহাড় ঘেরা সবুজ উপত্যকা।

জব্বলপুর, মধ্যপ্রদেশ: কম খরচায় যদি সেরা অফবিট পর্যটক স্থানের নাম বলা যায়, তা হল এই জব্বলপুর। কানহা ও বান্ধবগড় অভয়ারণ্য, অসাধারণ জলপ্রপাত দেখলে মন ও প্রাণ জুড়িয়ে যায়। রয়েছে মার্বেলের ভাস্কর্যও। বেশ কিছু প্রাচীন মন্দিরের নিদর্শনও রয়েছে এখানে।

গ্রেট হিমালয়ান ন্যাশানাল পার্ক: ভারতের পর্যটন সার্কিটে এক ধরনের রহস্য এটি। কুলু জেলায় অবস্থিত ২০১৪ সালে ইউনেস্কো বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান হিসেবে ঘোষণ করেছে। কী নেই এই অভয়ারণ্যে! পাখি ও পশু দেখা গেলেও সঠিকভাবে বন্যপ্রাণীদের জন্য নয়। এখানে অনেকেই ট্রেকিং, হাইকিং করতে আসেন। আসতে পারেন আপনরাও।

কিন্নর, হিমাচল প্রদেশ: কম জনবসতি, আপেল বাগান, দুর্গম রাস্তা, গভীর গিরিখাত, কাঠের মন্দির। অন্যান্য পর্যটন জেলা থেকে একদম আলাদা হল এই কিন্নর উপত্যকা। রয়েছে বৌদ্ধ ও হিন্দু ধর্মের মিশ্র সংস্কৃতি।

থাচি উপত্যকা, হিমাচল প্রদেশ: মান্ডি জেলার একটি ছোট্ট অপূর্ব সুন্দর পাহাড়ি গ্রাম। এখানে তেমন পর্যটকদের ভিড় নেই। নেই দোকানদারদের হৈ চৈও। তবে মন ভরে প্রকৃতিকে আগলে রাখতে পারবেন। এখানে অনেক প্রাচীন মন্দির রয়েছে। তার মধ্যে বিথু নারায়ণ মন্দির হল উপত্যকার প্রধান ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান।