
ইয়াঁদে ১৯৬৪— ছবিটি গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ড তৈরি করেছিল কারণ ছবিতে শুধুমাত্র একজন অভিনেতাকে ফিচার করা হয়েছিল। একটি ন্যারেটিভ ফিল্মে সবচেয়ে কম সংখ্যক অভিনেতা থাকার জন্য ছবিটি পুরষ্কার জিতেছে। সুনীল দত্ত পরিচালিত ও প্রযোজিত সিনেমায় আরেকজন অভিনেত্রী ছিলেন নার্গিস দত্ত।

ললিতা পাওয়ার—মাত্র ১২ বছর বয়সে ফিল্মে আত্মপ্রকাশ করেছিলেন এবং ৭০ বছর ধরে একটানা অভিনয় করেছিলেন। ললিতা ৭০০টিরও বেশি ছবিতে অভিনয় করেছেন। অভিনেত্রী হিসাবে দীর্ঘতম চলচ্চিত্র কেরিয়ারের জন্য থাকার জন্য গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে নাম ওঠে অভিনেত্রীর।

পইদি জয়রাজ— পইদি জয়রাজেরও দীর্ঘ চলচ্চিত্রের কেরিয়ার ছিল। তিনি ১৯২৯ সালে ডেবিউ করেন এবং সত্তর বছর অভিনয় করেছিলেন। তিনি তিন শতাধিক ছবিতে অভিনয় করেছেন। অভিনেতা হিসেবে দীর্ঘতম চলচ্চিত্র কেরিয়ারের জন্য গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ড গড়েছিলেন।

ভারতীয় ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি—বিশ্বের সর্বাধিক সমৃদ্ধ ফিল্ম নির্মাণের দেশ, প্রতি বছর প্রায় ৮০০ থেকে ১০০০ ফিল্ম নির্মাণ করে। প্রতি বছর হলিউডের নির্মিত সিনেমার প্রায় দ্বিগুণ। ২০০৯ সালে গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ড গড়ে, ২৪টি ভিন্ন ভাষায় মোট ১,২৮৮ টি চলচ্চিত্র নির্মিত হয়েছিল।

অশোক কুমার— ১৯৩৬ সালে ‘জীবন নইয়া’ ছবিতে আত্মপ্রকাশ।এই প্রবীণ অভিনেতা ধারাবাহিকভাবে বহু জনপ্রিয় সিনেমাতে প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছেন। তিনি ‘দাদামনি’ নামে পরিচিত ছিলেন এবং ৬৩ বছর ধরে একটানা অভিনয় করেছিলেন। দীর্ঘতম বলিউড কেরিয়ারে শীর্ষ চরিত্রে অভিনয়ের জন্য তিনি গিনিস বুক অফ দ্য ওয়ার্ল্ড রেকর্ড করেন।

পিকে— আমির খানের সুপারহিট ফিল্মটি সর্বকালের সবচেয়ে সফল ভারতীয় চলচ্চিত্র ছিল এবং এটি বলিউড ফিল্মের বক্স অফিসে সর্বোচ্চ উপার্জনের জন্য গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ড তৈরি করে। ২০১৫ সালের জানুয়ারি মাস পর্যন্ত বিশ্বব্যাপী ৬.২২ বিলিয়ন ডলার উপার্জন করে ছবিটি।

লাভ অ্যান্ড গড— ফিল্মটি শেষ করতে দীর্ঘ সময় নেয়। বিভিন্ন কারণে ‘লাভ অ্যান্ড গড’ ছবিটি সম্পূর্ণ করতে ২০ বছরেরও বেশি সময় লেগেছিল। ১৯৭১ সালে গুরু দত্ত এবং তৎকালীন পরিচালক কে আসিফের মৃত্যুর কারণে বিলম্বিত হয়। পরে ১৯৮৬ সালে সঞ্জীব কাপুর নেতৃত্ব দিয়েছিলেন এবং তারপর ছবিটি শেষ হয়েছিল। বলিউড ফিল্মটির দীর্ঘতম প্রযোজনার জন্য বিশ্ব রেকর্ড তৈরি করেছে।