
কোভিডের পর থেকে মানুষের মধ্যে ইমিউনিটি কমে গিয়েছে। আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণে ঘরে-ঘরে জ্বর সর্দিতে আক্রান্ত মানুষ। জ্বর সঙ্গে কাশির সমস্যা থাকছেই। এই অবস্থায় মারাত্মক চাপ পড়ে ফুসফুসের উপর।

অনেকেই হয়তো জানেন না, কাঁচা লঙ্কা ফুসফুসের স্বাস্থ্যের জন্য দারুণ উপকারী। কাঁচা লঙ্কার মধ্যে ভিটামিন সি রয়েছে। এটি হল এক ধরনের জলে দ্রবণীয় পুষ্টি যা আমাদের শরীরে শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে। এটি ফুসফুসের সংক্রমণ কমাতে দারুণ উপযোগী।

হলুদ সুপারফুড। হলুদের মধ্যে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্য রয়েছে। হলুদের মধ্যে কারকিউমিন নামের একটি শক্তিশালী যৌগ রয়েছে যা ফুসফুসকে যে কোনও ধরনের সংক্রমণের হাত থেকে রক্ষা করে।

আদাও স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। এই ঋতু পরিবর্তনের সময় আদা খেলে আপনি সর্দি-কাশির সমস্যা থেকে দূরে থাকতে পারবেন। তাছাড়া ফুসফুসকে ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করে আদা। বুকে কফ বসে গেলে নিউমোনিয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায় এবং নানা কারণে ফুসফুসের সংক্রমণ দেখা দেয়। এক্ষেত্রে আদা খেলে স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী।

বার্লি একটি পুষ্টিকর গোটা শস্য। এই খাবারের মধ্যে বেশ ভাল পরিমাণে ফাইবার রয়েছে। বার্লিও ফুসফুসের খেয়াল রাখতে সহায়ক। তাছাড়া এই খাবার অন্ত্রের স্বাস্থ্যের জন্যও উপকারী।

প্রচুর পরিমাণে শাক-সবজি খান। শাক-সবজির মধ্যে ক্যারোটেনয়েড, আয়রন, পটাশিয়াম, ক্যালশিয়াম এবং ভিটামিন রয়েছে। এই সব পুষ্টি দেহে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ও অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্য হিসেবে কাজ করে। এগুলো খেলে ফুসফুসের স্বাস্থ্য উন্নত হওয়ার পাশাপাশি আপনার সামগ্রিক স্বাস্থ্যও ভাল থাকবে।

প্রতিদিন সকালে আখরোট খান। আখরোটের মধ্যে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড রয়েছে। এই পুষ্টি আমাদের শরীরে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্য হিসেবে কাজ করে। আখরোট খেলে ফুসফুসের সংক্রমণের ঝুঁকি কমতে পারে। শ্বাসকষ্টের সমস্যা থাকলে আপনি আখরোট খেতে পারেন।

কাঁচা রসুন আপনাকে শ্বাসজনিত সমস্যা কমাতে পারে। রসুনের মধ্যে প্রদাহ বিরোধী গুণ রয়েছে। যে কোনও ধরনের শারীরিক প্রদাহ, সংক্রমণ প্রতিরোধে সক্ষম রসুন। রসুন খেলে আপনার ফুসফুসের স্বাস্থ্যও ভাল থাকবে।