
আসল নাম বখতাবর। কাকা বলিউডের অন্যতম চরিত্রাভিনেতা রাজা মুরাদ। দাদু প্রবীণ অভিনেতা মরাদ। বলিউডে পা রাখেন যশ চোপড়ার ‘বিজয়’ ছবি দিয়ে ১৯৮৮ সালে। যশ চোপড়া সিনেমার জন্য নাম দেন সোনাম। শুরু হয় নতুন নাম নিয়ে নতুন যাত্রা।

৯০-এর দশকে তিনি ছিলেন বলিউডের বোল্ড নায়িকা। অনেক পুরুষের হৃদয়ে জায়গা করে নিতে সময় নেননি তিনি। সব মিলিয়ে করেছেন ৩০টি ছবি। হিন্দির পাশাপাশি করেছেন তেলেগু ছবিও। রয়েছে একটি বাংলা ছবিও। তাঁর অভিনয়, সৌন্দর্যে মুগ্ধ সেই সময় দর্শক।

পরিচালক রাজীব রাইয়ের ‘ত্রিদেব’ ছবিতে নাসিরুদ্দিনের বিপরীতে নায়িকা। ছবির ‘তিরছি টৌপিওয়ালে’ গানের সঙ্গে তাঁর এবং নাসিরুদ্দিনের রসায়ন আজও সকলের মনে রয়েছে। সেই সময়ের অন্যতম জনপ্রিয় গানের একটি এটি।

‘ত্রিদেব’ ছবির সেটে রাজীবের সঙ্গে আলাপ, প্রেম। তারপর ১৯৯১ সালে বিয়ে করেন দুইজনে। বিয়ের পর করেন ‘বিশ্বাত্মা’ ছবি রাজীবের পরিচালনায়। এই ছবিতেও তাঁর বিপরীতে নায়ক ছিলেন নাসিরুদ্দিন। সানি দেওল, দিব্যা ভারতী, চাঙ্কি পাণ্ডে প্রমুখ অভিনেতারাও ছিলেন ছবিতে।

কিন্তু সেই সময় মুম্বইতে আন্ডারওয়ার্ল্ডের প্রবল দাপট ছিল। শোনা যায় ডন আবু সালেমের সঙ্গে কাজ করা নিয়ে তৈরি হয় সমস্যা। আসে মুত্যু হুমকি। ফলে তিনি দেশ ছেড়ে চলে যান বিদেশে। সঙ্গে যান রাজীব এবং একমাত্র ছেলে গৌরব।

অমিতাভ বচ্চন, ঋষি কাপুর, সানি দেওল থেকে প্রসেনজিৎ- তাঁর নায়কের তালিকাটা বেশ বড়। হ্যাঁ, একমাত্র বাংলা ছবির নাম ‘মন্দিরা’ (১৯৯০)। ছবির দুই নায়ক প্রসেনজিৎ-চাঙ্কি পাণ্ডে। ১৯৯৪ সালে অমিতাভ বচ্চন, সানি দেওল, চাঙ্কি পাণ্ডের সঙ্গে ‘ইনসানিয়ৎ’ তাঁর অভিনীত শেষ ছবি।

২০১৬ সালে রাজীবের সঙ্গে আইনত বিবাববিচ্ছেদ হয় তাঁর। তবে ২০০১ সাল থেকে দুইজনে আলাদা থাকেন। ছেলে গৌরবের ১৮ বছর না অবধি বিয়ে ভাঙেননি তাঁরা। দেশ ছাড়ার পর প্রথমে লস অ্যাঞ্জেলস, তারপর সুইটজ়্যারল্যান্ডে থাকতে শুরু করেন। আন্ডারওয়ার্ল্ডের হুমকি তাঁদের ব্যক্তিজীবনেও প্রভাব ফেলে বলেই ধারণা। কিন্তু সঠিক কারণ পাওয়া যায়নি রাজীবের বিয়ে ভাঙার।

সিনেমার সঙ্গে যোগাযোগ ছিন্ন বহুদিন। কী করেন এখন তিনি তাও খুব একটা জানা যায় না। তবে শোনা গিয়েছে ছেলের ২৩ বছর বয়সে তিনি আবার বিয়ে করেন বহুদিনের প্রেমিক পন্ডিচারির ব্যবসায়ী মুরালি পদুভলকে। তবে তিনি দেশে না বিদেশে থাকেন, তার সঠিক উত্তর জানা নেই। তবে তাঁর প্রাক্তন স্বামী রাজীব আবার দেশে ফিরেছেন ১৮ বছর পর নতুন সিনেমা তৈরি করতে।