
স্থানীয় স্থাপত্যগুলিও দেশের এক গুরুত্বপূর্ণ আঞ্চলিক স্থাপত্য-বৈচিত্র্যের সাক্ষী। প্রতিটি রাজ্যই রয়েছে নিজস্ব সংস্কৃতি ও শিল্প রয়েছে। এলাকার ইতিহাস, ঐতিহ্যের প্রকাশ পায় হস্তশিল্প কাজকর্মে। ভারতের সেই সব আঞ্চলিক হস্তশিল্প নিয়ে কয়েকটি অজানা তথ্য জেনে নিন এখানে...

থানজাভুর পুতুল- তামিলনাড়ুর বিখ্যাত এই ডান্সিং ডল খুব জনপ্রিয়। ঐতিহ্যবাহী এই হস্তশিল্পগুলি অত্য়ন্ত অভিনব। পুতুলের মাথাটি গোলাকার ও ধর থেকে আলাদা করে রাখা। যাতে হাত লাগলে বা বাতাসের দোড়ে মাথাটি দুলে ওঠে, অবিকল মানুষের মতো। বিশ্ববিখ্যাত এই পুতুল রাজ্যের শিল্পসংস্কৃতির মাহাত্ম্য অকল্পনীয়।

কাঠপুতলি- রাজস্থানের অত্যন্ত জনপ্রিয় এই কাঠপুতলি আসলে স্ট্রিং পাপেটস। রঙবেরঙের ঐতিহ্য়বাহী হস্তশিল্পটি বিশ্ববিখ্যাত। প্রতিটি পুতুলের নিয়ন্ত্রণ থাকে এক শিল্পীর আঙুলের উপর। পর্য়টকদের কাছে পুতুল খেলা দেখার কৌতূহল বরাবর থাকে।

ছান্নাপাটনা পুতুল- বেঙ্গালুরু ছা্নাপাটনা শহরে এই ছোট ছোট কাঠ দিয়ে তৈরি পুতুল অত্যন্ত জনপ্রিয়। ওয়ার্ল্ড ট্রেড অর্গানাইজেশনের অন্তর্গত এই শিল্প কর্ণাটকের কাছে গর্বের।

ডোকরা- ছত্তিশগঢ়ের বাস্তার এলাকার বিখ্যাত হস্তশিল্প এটি। ওয়াক্স মেটাল কাস্টিংয়ের তৈরি এই ডোকরা দেশে বিদেশে বেশ জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। ডোকরার ঘোড়া, হাতি, অলঙ্কার এই এলাকার বিখ্যাত।

বিদ্রিওয়্যার- কর্ণাটকের আরও একটি ট্র্যাডিশনাল হ্য়ান্ডক্রাফ্ট এটি। কর্ণাটকের বিদার শহরে বিদ্রিওয়্যার শিল্প বিশ্ববিখ্যাত। আর্টিস্টিক মেটালিকের উপর দুরন্ত হস্তশিল্প, তাক লাগিয়ে দেওয়ার মতোই।