কয়েকদিন আগেও যা ছিল স্বপ্ন, আজ সেটাই ঘোর বাস্তব। বছর ফুরনোর আগেই ফুটবল বিশ্বকাপ উঠেছে লিওনেল মেসির হাতে। সোনালি ট্রফির গায়ে পরম যত্নে হাত বোলানো, চুম্বন দেখেই বোঝা গিয়েছিল, পরম প্রিয় জিনিস পেয়ে গিয়েছেন তিনি। লিও-র লাখো অনুরাগীদের কাছে যা চোখের আরাম। (ছবি:টুইটার)
গত ১৮ ডিসেম্বর কাতারের লুসেল স্টেডিয়ামে ২০২২ বিশ্বকাপের ফাইনালে মুখোমুখি হয়েছিল আর্জেন্টিনা ও ফ্রান্স। রুদ্ধশ্বাস ফাইনাল ম্যাচ গড়ায় টাইব্রেকারে। সেখানে ৪-২ ব্যবধানে ফ্রান্সকে হারিয়ে ৩৬ বছর পর বিশ্বকাপ জয় দিয়োগো মারাদোনার দেশের। (ছবি:টুইটার)
গোটা স্টেডিয়ামকে উদ্বেল করে প্রথমার্ধে পেনাল্টি থেকে মেসির গোল। ৩৬তম মিনিটে ডি মারিয়া ব্যবধান দ্বিগুণ করেন। প্রথমার্ধেই ২-০ গোলে এগিয়ে যায় আর্জেন্টিনা। (ছবি:টুইটার)
কিন্তু ফাইনাল বলে কথা। সেখানে টুইস্ট থাকবে এমনটা কী করে হয়। দ্বিতীয়ার্ধে পেনাল্টি থেকে কিলিয়ান এমবাপের গোলে ব্যবধান কমায় ফ্রান্স। প্রথম গোলের ৯৭ সেকেন্ডের মধ্যে দ্বিতীয় গোলটিও করেন এমবাপে। ফ্রান্স সমতায় ফিরলে ম্যাচ গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। সেখানেও দুটি দল ১টি করে গোল করে। স্কোর দাঁড়ায় ৩-৩।(ছবি:টুইটার)
এরপর সেই রুদ্ধশ্বাস পেনাল্টি শুট-আউট। ফ্রান্সের দুটি শট আটকে আর্জেন্টিনার ফাইনাল জয়ের নায়ক গোলরক্ষক এমিলিয়ানো মার্টিনেজ। অভিজ্ঞতার উপর ভর করে নার্ভ শক্ত রেখে বাজিমাত করেন এমি। (ছবি:টুইটার)
আর্জেন্টিনা সমর্থকদের মুখে চওড়া হাসির নেপথ্যে কোচ লিওনেল স্কালোনি। অতীতে সমালোচনার ঝড় সয়েছেন। সময়টা এখন তাঁর উপভোগ করার। বিশ্বকাপ জয়ের পর আবেগে ভাসেন স্কালোনি।(ছবি:টুইটার)
ফুটবল বিশ্ব বলছে, বিশ্বকাপের সেরা ফাইনাল দেখে ফেলেছেন তাঁরা। যার একদিকে ফুটবলের জাদুকর অন্যদিকে এমবাপে ঝড়। কেরিয়ারের শেষ বিশ্বকাপে শেষ হাসি হেসেছেন মেসি। সতীর্থদের কাঁধে চেপে স্টেডিয়াম প্রদক্ষিণ, আনন্দ-উচ্ছ্বাসে মাতেন।(ছবি:টুইটার)