
যে কোনও পরিবারে আচমকা অশান্তি শুরু হলে সেখানে থাকা মানুষগুলোর মানসিক শান্তি বিঘ্নিত হয়। যদি কেউ দেখেন, সুখের সংসারে আগুন জ্বলতে শুরু করছে, বুঝবেন বিপদ এসেছে।

ভালোবাসা যেখানে ছিল ভরপুর, হঠাৎ সেই সম্পর্কে যদি বিতৃষ্ণা জন্মায় তা হলে ২টো মানুষই খেই হারিয়ে ফেলে। বুঝে উঠতে পারেন না এর আসল কারণ। এই সময় কী করী প্রয়োজন। সম্প্রতি গায়ক, সুরকার, প্রযোজক ও ইউটিউবার অরিজিৎ চক্রবর্তীর সঙ্গে এক পডকাস্টে অসমের তন্ত্র গুরু ও জ্যোতিষী দিব্যজ্যোতি শাস্ত্রী এই বিষয়ে নানা তথ্য জানিয়েছেন।

অরিজিৎ চক্রবর্তী বলেন, 'অনেকে বলে শনি-মঙ্গলবার বাড়ির বিভিন্ন কোণে কেউ ফুল ফেলে যায়। এগুলোর কাজ কী?' তন্ত্র গুরু ও জ্যোতিষী দিব্যজ্যোতি শাস্ত্রী বলেন, 'এগুলো আজকাল খুব হচ্ছে।' এরপর তন্ত্র গুরু ও জ্যোতিষী দিব্যজ্যোতি শাস্ত্রী একটি ঘটনার কথা জানান। তিনি বলেন, 'বর্ধমান থেকে একজন আমার কাছে আসেন। উনি জানান, তাঁর পরিবারে ঘটে যাওয়া এমন এক ঘটনা।'

দিব্যজ্যোতি শাস্ত্রী বলেন, 'ওনার ছেলে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা দেবে। জয়েন্টের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে। ছেলের সঙ্গে তিনি ঘুমোন। ছেলে পড়ছে না মোবাইল দেখছে তা জানতে। একদিন ওই ভদ্রমহিলা মাঝরাতে ছেলেকে ধরে ঘুমোন। হঠাৎ দেখেন ছেলের শরীর ঠাণ্ডা। মাছের আঁশের মতো ঠাণ্ডা।'

তিনি আরও বলেন, 'এরপর ওই মহিলার মনে হয়, তাঁদের রুমের পায়ের নীচের জানালা দিয়ে কেউ বেরিয়ে যায়। তারপর বাড়িতে পচা পচা গন্ধ আসতে শুরু করে। ভালো ভালো ধূপকাঠি জ্বালালেও কাজ হয়নি। ফিনাইল দিয়েও কাজ হয়নি।'

এগুলো আসলে কী? দিব্যজ্যোতি শাস্ত্রী বলেন, 'এ সব পিশাচতন্ত্র, কর্ণ পিশাচিনী - বাড়িতে লাগানো হলে বাড়ি ধ্বংস হয়ে যায়। সঠিক উপায়ে এর থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। প্রথমে জানতে হবে আপনার উপরে বা বাড়ির উপরে কোন ক্রিয়া করা হয়েছে। এসব থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।'

তিনি আরও বলেন, 'যদি ছেলে-মেয়ের পড়াশুনায় ভারসাম্য নেই, স্বামী-স্ত্রীর মিল নেই, স্বাস্থ্য সমস্যা - হঠাৎ কোনও বিজ্ঞাপন দেখে তান্ত্রিকের কাছে চলে যাবেন না। প্রথমে নিজেকে বুঝতে হবে কী সমস্যা হচ্ছে। তন্ত্রর অনেক ক্ষমতা। পৃথিবীর সৃষ্টির সময় থেকে তন্ত্র হোম চলছে।'

বিঃ দ্রঃ - এই প্রতিবেদনে যে বক্তব্য তুলে ধরা হয়েছে, তা তাঁদের ব্যক্তিগত মতামত। এই বিষয়ে কোনও দায় নেই TV9 Bangla-র।