
কষ্ট করেও কেষ্ট মিলছে না! আর্থিক সংকটে যদি অনবরত ভুগতেই থাকেন, তাহলে তুলসীর কিছু প্রতিকার মেনে চলা উচিত। সারাজীবন কখনও আর্থিক ঘাটতি দেখা যাবে না।

হিন্দু ধর্মে তুলসীর গুরুত্ব অপরিসীম ও অপরিহার্য। বাড়িতে তুলসী গাছ লাগিয়ে পুজো করলে অনেক উপকার পাওয়া যায়। বাস্তু ও জ্যোতিষ অনুসারে, তুলসীর প্রতিকারে ভাগ্য বদলে দেওয়ার ক্ষমতা রয়েছে।

এমন কিছু প্রতিকার রয়েছে যা আর্থিক সংকট দূর করতে সাহায্য করে। ধন-সম্পত্তি এমন অনেক তুলসী প্রতিকার রয়েছে যা আর্থিক সংকট দূর করতে সাহায্য করে।

বাস্তু বিশেষজ্ঞদের মতে, অনেকেই জলের বদলে দুধ বা জলের সঙ্গে দুধ মিশিয়ে তুলসীর মূলে ঢালেন। তাতে যদি ভেবে থাকেন সম্পদ বৃদ্ধি হবে হু হু করে, তা একেবারেই ভুল ধারণা। কারণ শুধু দুধ বা জলেতেই ধনলক্ষ্মী তুষ্ট হন না।

হিন্দুধর্ম অনুসারে, তুলসী গাছে ধনলক্ষ্মীর বাস। তাই প্রতিটি হিন্দুদের গৃহেই তুলসী গাছ স্থাপন করা হয়। আর্থক সমস্যায় তুলসীর প্রতিকার মেনে চললে সবচেয়ে লাভবান হতে পারেন আপনিই।

শাস্ত্র মতে বাড়িতে ধন-সম্পদের অভাবের লক্ষণ দেখা দিলে, আর্থিক ক্ষতি যদি বারবার হয়ে থাকেন, শত্রুদের ষড়যন্ত্রে প্রতিবার পরাস্থ হয়ে থাকেন, ছোটখাটো ব্যাপার নিয়ে যদি অশান্তি ও উত্তেজনার সৃষ্টি হয় তাহলে তুলসীরএই সহজ প্রতিকার মেনে চলা উচিত।

এমনটা আপনার জীবনে হয়ে থাকলে, তুলসী গাছে জলের পরিবর্তে আখের রস ঢালতে পারেন। একটি পাত্রের মধ্যে আখের রস নিয়ে তুলসী গাছের মঞ্চে নিজের নাম ও বংশের বাম সাতবার পাঠ করে রেখে দিন।

এমন প্রতিকার মেনে চললে সম্পদের অভাব দূর হবে দ্রুততার সঙ্গে। ফলাফল পাবেন হাতেনাতে। মাত্র তিন বছরের মধ্যেই ফিরে পাবেন নিজের প্রাপ্য অর্থ ও সম্পদ। লক্ষ্মীর কৃপায় সবসময় আশীর্বাদ বর্ষণ হবে।

আর্থিক সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে প্রতিদিন সকালে স্নানের পর তুলসীমূলে জল নিবেদন করা উচিত। পাশাপাশি সকাল-সন্ধ্যে তুলসীজির কাছে প্রদীপ জ্বালানোও উপকারী। তাবিজ হিসাবেও গলায় তুলসীর শিকড় পরা বেশ উপকারী।