
প্রত্যেকেরই উচিত প্রাথমিক কিছু স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা। তার মধ্যে রয়েছে পা পরিষ্কার থেকে মুখ ধোওয়া। রোজ ঠিক করে যদি দাঁত না মাজা হয়, মুখ না ধোওয়া হয় তাহলে মুখে খাবার পচে দুর্গন্ধ হয়। সেখান থেকে যে কোনও রকম ব্যাকটেরিয়াল সংক্রমণও হতে পারে

কারোর সামনে দাঁড়ালেই যদি মুখ থেকে গন্ধ ওঠে তাহলে তা বড়ই অস্বস্তিকর। মুখের গন্ধ আপনার সামনে থাকা মানুষকেও বিব্রত বোধ করায়। সঙ্গে নিজের ক্ষতি তো হয়ই। মুখে দুর্গন্ধ অন্য কোনও রোগের ইঙ্গিতও হতে পারে

নিঃশ্বাসে দুর্গন্ধের কারণ হল ঠিক মতো নিজের যত্ন না নেওয়া। খাবারের কণা মুখে লেগে থাকলে তা পচে দুর্গন্ধ হতেই পারে। রোজকার অভ্যাসে এই কয়েকটি জিনিস থাকলেই নিঃশ্বাসে দুর্গন্ধের সমস্যা দূর হবে

অনেকের মুখের গন্ধের কারণ হতে পারে কিডনির সমস্যা। রোজকার ডায়েটে আপেল, গাজর, পার্সলে এসব রাখার চেষ্টা করুন। দাঁতে জমে থাকা ময়লা দুধ করে, নিঃশ্বাসের দুর্গন্ধও দূর করে দেয় এই সব ফল, সবজি

ক্যালশিয়াম, ফসফরাস এসব রাখুন ডায়েটে। এই সব উপাদান দাঁতকে শক্তিশালী করে। টকদই, দুধ, পনির এসব খান নিয়ম করে। এছাড়াও ক্যালশিয়াম দাঁতের এনামেল গঠনে সাহায্য করে। দাঁতের গঠন ঠিক রাখে এবং দাঁত শক্তিশালীও রাখে

পালং শাকের মধ্যে থাকে ভিটামিন, খনিজ এবং ক্যালশিয়াম। সেই সঙ্গে থাকে প্রচুর পরিমাণ ফোলিক অ্যাসিড। যা মাড়ির রোগের ঝুঁকি অনেক বেশি কমিয়ে দেয়। মাড়ি সুস্থ সবল রাখতে সাহায্য করে

যাদের মুখে দুর্গন্ধ বেশি হয় তাদের পেঁয়াজ, রসুন, মাছ, মাংস কম পরিমাণে খাওয়া উচিত। এই সব খাবার থেকে মুখে দুর্গন্ধ বেশি হয়। তাই বুঝে শুনে খাবার খান। জল বেশি করে খেতে হবে, ডিটক্স ওয়াটারও খান

খাওয়ার পর সঙ্গে সঙ্গেই মুধ খুয়ে নিতে হবে। রাতে দাঁত মেজে ঘুমনোর অভ্যাস করুন। যদি একটুকরো চকোলেট খান তাহলেও কিন্তু মুখ ধুতে ভুলবেন না। অনেক সময় অ্যাসিড থেকেও মুখে দুর্গন্ধ ওঠে। তাই মুখ ধুয়ে তবেই ঘুমোতে যান