Bangla NewsPhoto gallery America is importing gold all over the world creates disruption in gold supply chain
Gold Stock in America: সারা বিশ্ব থেকে টন টন সোনা কিনে খনি তৈরি করছে আমেরিকা! কী ফন্দি আঁটছেন ট্রাম্প?
Gold Stock in America: জানা যাচ্ছে, নিউ ইয়র্কের কোষাগার ভরে গিয়েছে সোনায়। ওয়ার্ল্ড গোল্ড কাউন্সিলের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালের ডিসেম্বর থেকে নিউ ইয়র্কের কোষাগারে ৬০০ টন বা প্রায় ২০ মিলিয়ন আউন্স সোনা এসেছে।
ভারতের বাজারে সোনার দাম উর্ধ্বমুখী। একই সঙ্গে দাম বাড়ছে আমেরিকাতেও। তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ট্রাম্পের দেশে সোনার চাহিদাও। গোটা বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে সোনা আমদানি করছে আমেরিকা। সিএনবিসির একটি প্রতিবেদন অনুসারে, আমেরিকায় সোনার বিশাল চাহিদা বিশ্বজুড়ে সোনার বাজারে অস্থিরতা সৃষ্টি করেছে। অন্যান্য দেশ থেকে সোনা ক্রমাগত নিউ ইয়র্কের কোষাগারে পৌঁছাচ্ছে। বিশেষজ্ঞদের কেউ কেউ বলছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প, কানাডা এবং মেক্সিকো থেকে পণ্য আমদানির উপর ভারী কর আরোপের পর থেকেই এই ট্রেন্ড আরও বেশি করে দেখা যাচ্ছে।
ভারতের বাজারে সোনার দাম উর্ধ্বমুখী। একই সঙ্গে দাম বাড়ছে আমেরিকাতেও। তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ট্রাম্পের দেশে সোনার চাহিদাও। গোটা বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে সোনা আমদানি করছে আমেরিকা। সিএনবিসির একটি প্রতিবেদন অনুসারে, আমেরিকায় সোনার বিশাল চাহিদা বিশ্বজুড়ে সোনার বাজারে অস্থিরতা সৃষ্টি করেছে। অন্যান্য দেশ থেকে সোনা ক্রমাগত নিউ ইয়র্কের কোষাগারে পৌঁছাচ্ছে। বিশেষজ্ঞদের কেউ কেউ বলছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প, কানাডা এবং মেক্সিকো থেকে পণ্য আমদানির উপর ভারী কর আরোপের পর থেকেই এই ট্রেন্ড আরও বেশি করে দেখা যাচ্ছে।
জানা যাচ্ছে, নিউ ইয়র্কের কোষাগার ভরে গিয়েছে সোনায়। ওয়ার্ল্ড গোল্ড কাউন্সিলের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালের ডিসেম্বর থেকে নিউ ইয়র্কের কোষাগারে ৬০০ টন বা প্রায় ২০ মিলিয়ন আউন্স সোনা এসেছে। সাধারণত নিউ ইয়র্কে এত সোনা রাখা হয় না।
আগে ট্রাম্প প্রশাসন জানায় ১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ থেকে কানাডা এবং মেক্সিকো থেকে আসা পণ্যের উপর ২৫% শুল্ক আরোপ করা হবে। এর মধ্যে অন্তর্ভুক্ত থাকবে সোনাও। সেই ভয়ে আমেরিকান ব্যাঙ্ক, বিনিয়োগকারী এবং ব্যবসায়ীরা ইতিমধ্যেই প্রচুর পরিমাণে সোনার অর্ডার দিয়েছে যাতে নতুন হারে শুল্ক কার্যকর হওয়ার আগেই পর্যাপ্ত স্টক প্রস্তুত থাকে।
বিশেষজ্ঞদের কেউ কেউ বলছেন, ভবিষ্যতে ব্রিটেন এবং সুইজারল্যান্ডের মতো দেশ থেকে আসা সোনার উপরও উচ্চা হারে কর আরোপ করা হতে পারে। এই দুটি দেশ বিশ্বের বৃহত্তম সোনা সরবরাহকারীদের মধ্যে অন্যতম।
জানা যায়, আমেরিকা সবচেয়ে বেশি সোনা আমদানি করে কানাডা, সুইজারল্যান্ড, মেক্সিকো, দক্ষিণ আফ্রিকা এবং কলম্বিয়া থেকে। ট্রাম্প নির্বাচনে জয়লাভের পর থেকেই আমেরিকায় সোনার দাম অন্যান্য দেশের তুলনায় দ্রুত বৃদ্ধি পেয়েছে। স্বভাবতই ফলে ব্যবসায়ীরা আমেরিকায় সোনা বিক্রি করে বেশ ভাল লাভ করেছেন।
বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর নিউ ইয়র্কে এখন যে পরিমাণ সোনা মজুত রয়েছে তাতে, মার্কিন মুলুকের প্রায় ৪ বছরের চাহিদা মেটাতে যথেষ্ট। এমনকি লন্ডন থেকেও সোনা রফতানি হচ্ছে আমেরিকাতে।
লন্ডনকে বিশ্বের সোনার কেন্দ্র বলা হয়, কিন্তু এখন পরিস্থিতি বদলে যাচ্ছে। ব্যবসায়ীরা লন্ডনের ব্যক্তিগত ভল্ট থেকে সোনা সরিয়ে নিউ ইয়র্কে পাঠানো শুরু করেছেন। লন্ডনে সোনার মজুদ ক্রমাগত কমছে। ২০২৫ সালের জানুয়ারিতে লন্ডনের সোনার রিজার্ভ টানা তৃতীয়বারের মতো হ্রাস পেয়েছে।
আবার আমেরিকায় সোনা ডেলিভারি সাধারণত ১ কেজি সোনার বারে করা হয়। এই বারগুলির বেশিরভাগই চিন, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া, মধ্যপ্রাচ্য এবং ভারতে তৈরি হয়। এদিকে লন্ডনের সাধারণ বারের ওজন ৪০০ আউন্স।
বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন শোধনাগারগুলিতে এই ৪০০-আউন্স বারকে ১ কেজি বারে রূপান্তর করার জন্য চাপ বেড়েছে। যাতে আমেরিকাতে সোনা রফতাই করা যায়। সুইজারল্যান্ড এবং সিঙ্গাপুর থেকে রেকর্ড রপ্তানি হয়েছে। গত ১৩ বছরের মধ্যে জানুয়ারিতে সুইজারল্যান্ড থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে সবচেয়ে বেশি সোনা পাঠানো হয়েছে। সিঙ্গাপুরও প্রত্যাশার চেয়ে বেশি সোনা আমেরিকায় পাঠিয়েছে।
ব্যবসায়ীরা বলছেন যে আমেরিকা যেভাবে সোনা ‘টেনে’ নিয়েছে তা বিশ্বব্যাপী সরবরাহ শৃঙ্খলকে সম্পূর্ণরূপে ব্যাহত করেছে। ট্রাম্পের একটি সিদ্ধান্ত বিশ্বব্যাপী সোনার বাণিজ্যকে প্রভাবিত করেছে।