
ফেসিয়াল অয়েল কোনও নতুন প্রসাধনী পণ্য নয়। ফেস অয়েলের ব্যবহার কমবেশি সকলেই জানেন। কিন্তু দিনের কোন সময় ফেসিয়াল অয়েল ব্যবহার করলে সবচেয়ে বেশি উপকার পাওয়া যায়, তা কি জানেন?

ফেসিয়াল অয়েল দিয়ে ত্বকের উপর মালিশ করলে মুখের রক্ত সঞ্চালন উন্নত হয়। এতে সহজে মুখের উপর বলিরেখা, সূক্ষ্মরেখা পড়ে না। তার উপর মুখ অনেক বেশি উজ্জ্বল দেখায়। এমনকী অয়েলি স্কিনেও আপনি ফেসিয়াল অয়েল ব্যবহার করতে পারেন।

রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে ফেসিয়াল অয়েল ব্যবহার করা উচিত। রাতে মুখ ধুয়ে নিন। এরপর তিন-চার ফোঁটা ফেসিয়াল অয়েল নিয়ে ত্বকের উপর লাগিয়ে নিন। আঙুলের মাধ্যমে ত্বকের উপর মালিশ করুন। মালিশ করার জন্য জেড রোলার বা ম্যাসাজ টুলও ব্যবহার করতে পারেন।

রাতে ত্বক পুনর্গঠনের অনেকটা সময় পায়। তাছাড়া এই সময়ে ত্বক কোনওরকম নোংরা বা দূষণের সংস্পর্শে আসে না। রাতে মুখে ফেসিয়াল অয়েল লাগিয়ে ঘুমলে পর মুখ অনেক বেশি তরতাজা দেখাবে।

বাজারে বিভিন্ন ধরনের ফেসিয়াল অয়েল পাওয়া যায়। আপনি আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী ফেসিয়াল অয়েল বাড়িতেও বানিয়ে নিতে পারেন। আর যদি ফেসিয়াল অয়েল পছন্দ না করেন, তাহলে নারকেল তেল মাখলেও একই উপকার পাবেন।

ভিটামিন সি অয়েল ব্যবহার করতে পারেন। ১/২ চামচ করে ভিটামিন সি ও ভিটামিন ই তেল, অ্যালোভেরা জেল ও ৫ ফোঁটা ল্যাভেন্ডার এসেনশিয়াল অয়েল নিন। এগুলো একসঙ্গে মিশিয়ে শিশিতে ভরে রাখুন। রোজ রাতে আপনি এই তেল ব্যবহার করতে পারেন।

শুষ্ক ত্বকের যত্ন নিতে ফেসিয়াল অয়াল বানিয়ে নিন। ১/২ চামচ করে রোজহিপ সিড অয়েল, ভেষজ অর্গ্যান অয়েল ও ভিটামিন ই অয়েল নিয়ে একসঙ্গে মিশিয়ে নিন। এতে আপনার পছন্দের এসেনশিয়াল অয়েলও মেশাতে পারেন। এই ফেসিয়াল অয়েল প্রতিদিন রাতে ব্যবহার করতে পারেন।

১/২ চামচ করে জোজোবা অয়েল, অর্গ্যান অয়েল ও গ্রাপসিড অয়েল নিন। এতে ২ ফোঁটা করে ট্রি টি অয়েল, রোজমেরি অয়েল ও পেপারমিন্ট অয়েল মিশিয়ে দিন। এই ফেসিয়াল অয়েল আপনি তৈলাক্ত ও ব্রণ প্রবণ ত্বকে ব্যবহার করতে পারেন।