
গুয়াহাটি: দেশে কর্মসংস্থানের অভাবের চিত্রটা বিভিন্ন সময়ে সামনে আসে। কোভিড হানার পরবর্তীর পর্যায়ে চাকরির অবস্থা তথৈবচ! পর্যাপ্ত শিক্ষা বা প্রশিক্ষণ থাকা সত্ত্বেও যথাযথ চাকরি মিলছে না, চাকরি প্রার্থীদের এই অভিযোগ দীর্ঘদিনের। বেসরকারি সংস্থায় যদি চাকরির সুযোগও মেলে, তবে পরিশ্রম করতে করতে জীবন জেরবার। এই অবস্থায় সরকারি চাকরির প্রতি ঝোঁক ক্রমশই বাড়ছে চাকরি প্রার্থীদের।

এই প্রতিযোগিতার যুগে একটি সরকারি চাকরি জোগাড় করা মুখের কথা নয়। তার জন্য প্রয়োজন বিস্তর প্রস্তুতি অনেকে তাই নিজের কর্মজীবন সামলে সরকারি চাকরি পাওয়ার প্রস্তুতি নেন। সরকারি চাকরির নিশ্চয়তার পাশাপাশি মেলে বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা, তাই এই সরকারি কর্মচারী হওয়ার প্রত্যাশা চাকরি প্রার্থীদের মধ্যে ক্রমশ বাড়ছে।

অসম সরকারের সাম্প্রতিক ঘোষণার কথা শুনলে সরকারি চাকরি পাওয়ার প্রত্যাশা বাড়বে বই কমবে না। সম্প্রতি অসমের বিজেপি সরকার জানিয়েছে, ২০২২ সালে জানুয়ারি মাসে বাবা মা অথবা শ্বশুর শাশুড়ি সঙ্গে দেখা করার জন্য মিলবে ৪ দিনের ছুটি। সরকারি কর্মচারীরা জানুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহে ২ দিনের ক্যাজুয়াল লিভ এবং ২ দিন ছুটি পাবেন।

চলতি মাসের ৭ তারিখ এই মর্মে নির্দেশিকা জারি করেছে অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা নেতৃত্বাধীন বিজেপি সরকার। শুধুমাত্র কর্মীদেরই নয়, সরকারের মন্ত্রীদেরও নিজের আত্মীয়দের সঙ্গে দেখা করার জন্য দু'দিনের ছুটি মঞ্জুর করা হয়েছে। নভেম্বর মাসের ২৪ তারিখই অসমের মন্ত্রিসভা কর্মীদের ৪ দিন ছুটি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল।

অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা জানিয়েছিলেন, " রাজ্য সরকার জানুয়ারি মাসের ৬ ও ৭ তারিখ ছুটি হিসেবে ঘোষণা করছে। যাদের মা বাবা আছেন একমাত্র তারাই এই দুই দিন ছুটি পাবেন। ৮ ও ৯ তারিখ শনি ও রবিবার হওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই তারা একটানা চারদিন ছুটি অনুভব করতে পারবেন।" এই নির্দেশিকা সামনে আসার পর স্বাভাবিকভাবেই খুশি সরকারি কর্মীরা।