
কাঠ করবী ফুলের গাছ জ্যোতিষশাস্ত্র ও বাস্তুতেও দারুণ গুরুত্ব পেয়ে থাকে। জ্যোতিষশাস্ত্রে কাঠ করবী ফুল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও শুভ বলে মনে করা হয়।

সাধারণত তিনটি রঙের এই ফুল দেখতে পাওয়া যায়। গোলাপী, সাদা, হলুদ রঙের ফুল দেখা যায়। কথিত আছে, এই ফুলের গাছ ঘরে লাগালে সম্পদ ও সমৃদ্ধি বাড়ে। রয়েছে আরও বাস্তু নিয়মও।

জ্যোতিষশাস্ত্রে, কাঠ করবী ফুল ধনলক্ষ্মীর ভীষণ প্রিয় একটি ফুল। শুধু ়তাই নয়, লক্ষ্মীর প্রতীক হিসেবেও এই ফুলকে মেনে চলা হয়। সাধারণত প্রিয় ফুল হিসেবে লক্ষ্মীকে কাঠ করবী ফুল নিবেদন করা হয়।

কাঠ করবী ফুলের গাছ ও ফুল দুটোই প্রিয় দেবী লক্ষ্মীর । তাই ঘরে এই গাছ লাগাতে পারেন। তাতে দেবী লক্ষ্মীর কৃপা বজায় থাকে।

হলুদ রঙের কাঠ করবী ফুল ভগবান বিষ্ণুর খুব প্রিয়। মনে করা হয়, ভগবান বিষ্ণু এই রঙের কাঠ করবী ফুলের গাছেই বাস করেন। তাই বিষ্ণুকে হলুদ ফুল নিবেদন করা উচিত। এই নিয়ম মেনে চললে ভগবান বিষ্ণুর আশীর্বাদ বর্ষিত হয়।

কথিত আছে কাঠ করবী ফুলের গাছে যদি সর্বদা ফুলে ছেয়ে থাকে, তাহলে কখনও ঘরে টাকা-পয়সা ও অন্নের অভাব হয় না।

কাঠ করবী ফুলের গাছ বাড়িতে লাগালে মানসিক শান্তি পাওয়া যায়। এর পাশাপাশি বাড়ির পরিবেশও খুব ইতিবাচক ও শান্ত থাকে।

বাস্তুশাস্ত্র অনুযায়ী, বাড়ির ভিতরে কানের ফুল গাছ না লাগানোই মঙ্গলের। তবে বাড়ির বাগানে লাগাতে পারেন। শত্রুদের পরাজয় করতে বৃহস্পতিবার, সূর্যোদয়ের আগে, লাল রঙের কাঠ করবী ফুলের পাপড়ি সাতটি টুকরো নিয়ে কর্পূর দিয়ে পুড়িয়ে ফেলুন।

যদি কোনও ব্যক্তির মঙ্গলদোষ থাকে, তাহলে প্রতিদিন কাঠ করবী ফুলের গাছের মূলে জল নিবেদন করুন। তাতে জাতকের রাশিতে উপস্থিত মঙ্গল দোষ কেটে যায়। বাস্তু নিয়ম মেনে বাড়ির পশ্চিম বা দক্ষিণ-পশ্চিম কোণে লাগানো ভাল।