
চা ছাড়া বাঙালির জীবন চলে না। উঠতে-বসতে চা চাই আমাদের। দিনের শুরু এক কাপ চা ছাড়া হয় না।

আবার বিকেল কিংবা সন্ধ্যেতেও চা ছাড়া চলে না। অফিস থেকে ফিরে ফ্রেশ হতে নিদেনপক্ষে এক কাপ চা তো চাই চাই।

তবে চায়ের সঙ্গে টা হিসেবে কোনও বিস্কুট নয়। এমনকী শিঙাড়া, তেলেভাজা, ফ্রাই, কাটলেট এসবও নয়। কারণ চা এর সঙ্গে এই সব খাবার খেলে হজম হতে সময় লাগে সেই সঙ্গে চড়চড়িয়ে বাড়তে থাকে রক্তশর্করাও।

বিস্কুটের মধ্যে ময়দা থাকে। এই ময়দা কোষ্ঠকাঠিন্যের কারণ হতে পারে। আবার ইনসুলিনের ভারসাম্যহীনতার কারণ এই ময়দা। আর প্রক্রিয়াজাত খাবারের মধ্যে বিএইচএ এবং বিএইচটি ক্ষতিকারক ডিএনএ থাকে যা হরমোনের ভারসাম্যহীনতা ঘটায়।

আর তাই চায়ের সঙ্গে ভাজা ছোলা খেতে বারেন। তেলে নয়, শুকনো বালিতে ভাজা ছোলা খান। ছোলায় অতিরিক্ত নুন-মশলা যাতে না থাকে সেদিকেও খেয়াল রাখুন। ভাজা ছোলার মধ্যে ফাইবার থাকে আর তা ইনসুলিনের মাত্রা বজায় রাখতে সাহায্য করে।

এছাড়াও ছোলার মধ্যে থাকে ক্যালশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, বি কমপ্লেক্স। যা হাড়ের জোর বাড়ায় সেই সঙ্গে হজম ক্ষমতা ঠিক রাখতে সাহায্য করে। পাশাপাশি শরীরে রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতাও বাড়ায়।

চায়ের সঙ্গে একটু শুকনো মুড়ি খেতে পারেন এতে কোনও রকম ক্ষতি হয় না।

লিকার চা খেলে সঙ্গে ড্রাই ফ্রুটস খেতে পারবেন। এতে খিদেও মিটবে আর শরীরও ভাল থাকবে। হজমের সমস্যা হবে না।

চায়ের সঙ্গে রোস্টেড মাখানাও খেতে পারেন। মাখানা ঘি এর মধ্যে সামান্য গোলমরিচের গুঁড়ো দিয়ে রোস্ট করে নিন। খিদে পেলে কিংবা চায়ের সঙ্গে খান।