
দুর্নীতির তালিকায় তাঁর নামটা নতুন সংযোজন। কিন্তু তাঁর বিরুদ্ধেই যা যা কীর্তির অভিযোগ সামনে আসছে, তা জোচ্চুরির দৌড়ে পিছনে ফেলে দেবে কুন্তল-শান্তনুকে। তিনি পেশায় একজন প্রোমোটার। অথচ প্রতারণার সিঁড়ি বেয়ে কোথায় হাত নেই তাঁর। পুরসভা, স্কুল, টলিউড-সবেতেই তাঁর হাত। এতদিন পর্যন্ত দুর্নীতিতে যাঁদের নাম উঠে এসেছে, তাঁদের 'গ্ল্যামারের' ছটা চোখ ধাঁধিয়েছে আম জনতার। এবার নাম উঠে আসছে অয়ন শীলের বান্ধবী শ্বেতা চক্রবর্তীর। তাঁরও গ্ল্যামারের ছটা চোখ টেনেছে সকলের। অয়ন শীলের ঘনিষ্ঠ বান্ধবী শ্বেতা চক্রবর্তীর বাড়ি নৈহাটি জেলাপাড়াতে। কে এই শ্বেতা চক্রবর্তী?

কামারহাটি পৌরসভার ইঞ্জিনিয়ার পদে চাকরি করতেন শ্বেতা। বাবা প্রাক্তন স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মী। গত ২০১৭ সাল থেকে অয়ন শীলের সঙ্গে পরিচয় শ্বেতা চক্রবর্তী। জানা যাচ্ছে, অয়ন শীলের স্ত্রীর সুবাদেই মডেল শ্বেতার সঙ্গে পরিচয় হয় অয়নের। অয়ন শীল পেশায় প্রোমোটিংয়ের ব্যবসা করেন। অয়ন শীলের প্রোমোটিংয়ের ব্যবসার ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর ছিলেন শ্বেতা।

ইডির তদন্তে দেখা গিয়েছে শ্বেতার একটি গাড়ি কেনার সময় বেশ কিছু টাকা দিয়েছিলেন অয়ন। সেই সূত্র অনুযায়ী ইডি আধিকারিকেরা শ্বেতাকে তলব করেছে ইডি দফতরে।

ইডির তদন্তে দেখা গিয়েছে শ্বেতার একটি গাড়ি কেনার সময় বেশ কিছু টাকা দিয়েছিলেন অয়ন। সেই সূত্র অনুযায়ী ইডি আধিকারিকেরা শ্বেতাকে তলব করেছে ইডি দফতরে।

নৈহাটির বাড়িতে বাবা-মায়ের সঙ্গে থাকেন শ্বেতা। আর তাঁর এক ভাই রয়েছে। তিনি কল্যাণীতে থাকেন। জানা যাচ্ছে, এই শ্বেতাই একপ্রকার অয়নের সমস্ত কাজ দেখভাল করতেন। প্রোমোটারির ব্যবসাও সামাল দিতেন। অয়ন শীলের ৩২টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের খোঁজ মিলেছে এখনও অবধি। তার মধ্যে এই বান্ধবীর নামেও একটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট আছে। উত্তর ২৪ পরগনার কামারহাটি পুরসভার ঠিক উল্টোদিকে জগন্নাথ নিকেতনে তাঁদের একটি ফ্ল্যাট রয়েছে বলেও জানা গিয়েছে। তবে সেখানে গিয়ে জানা গেল আবাসিকরা বলছেন, অয়নকে নিজের মামা বলে পরিচয় দিলেন শ্বেতা। মেয়ের এই সব তথ্য় প্রকাশ্যে আসতেই শ্বেতার বাবা বলেন, "আমি জীবনে কোনও অন্যায় কাজ করিনি। অন্যায়ের সঙ্গে যুক্ত ছিলাম না।"