
নিম পাতা: নিম পাতায় অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি, অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল, অ্যান্টি-ভাইরাল, অ্যান্টি-ফাঙ্গাল বৈশিষ্ট্য বর্তমান। এটি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে শক্তিশালী করে তুলতে সহায়তা করে। তবে একটানা ১৫ দিনের বেশি নিমপাতা খাওয়া ঠিক নয়।

আদা: শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে শক্তিশালী করে তুলতে আদাও অত্যন্ত কার্যকর। আদায় অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের বৈশিষ্ট্য বর্তমান। এটি মেটাবলিজম উদ্দীপিত করার পাশাপাশি, অনাক্রম্যতা বৃদ্ধি করতেও সহায়তা করে।

আমলকী: নিয়মিত খালি পেটে আমলকী খাওয়া শুরু করুন, আর দেখুন ম্যাজিক! আমলকী বা ইন্ডিয়ান গুজবেরি ভিটামিন সি, বিটা-ক্যারোটিন এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের উৎস। এটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে শক্তিশালী করে তুলতে সহায়তা করে।

গিলয় এবং ব্রাহ্মী: আয়ুর্বেদের অন্যতম দু'টি উপাদান হল, গিলয় এবং ব্রাহ্মী। গিলয় এবং ব্রাহ্মীর রসের সেবন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে শক্তিশালী করে তোলার পাশাপাশি শক্তি, বুদ্ধি এবং স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে। তবে, এই ভেষজগুলি শরীরের তাপমাত্রা বৃদ্ধি করে, তাই এর প্রভাব কমাতে দুপুরের খাবারের পরে বাটারমিল্ক পান করুন।

তুলসী: আয়ুর্বেদের অন্যতম জনপ্রিয় ভেষজ হল তুলসী। তুলসী শক্তিশালী জীবাণুনাশক হিসেবে কাজ করে। এতে ফাইটোকেমিক্যালস এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টর বৈশিষ্ট্য বর্তমান। এটি জীবাণু, ব্যাকটেরিয়া এবং ভাইরাস আমাদের শরীরে প্রবেশ করার মুহুর্তে সনাক্ত করে এবং এদের ধ্বংস করতে সহায়তা করে। তাই শরীরের অনাক্রম্যতা বৃদ্ধি করতে সকালে তুলসী পাতা চিবিয়ে খেতে পারেন।

ত্রিফলা: আমলকী, হরিতকি এবং বহেরা-র চূর্ণ একসাথে মিশিয়ে তৈরি হয় এই ত্রিফলা। এটি আমাদের স্বাস্থ্যের ক্ষেত্রে অত্যন্ত উপকারি। এতে ভিটামিন সি, ভিটামিন এ, অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি, অ্যান্টিঅক্সিডেটিভ এবং ল্যাক্সেটিভ বৈশিষ্ট্য বর্তমান। ত্রিফলা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে শক্তিশালী করে তুলতে সহায়তা করে।