Sheikh Hasina: হাসিনার জামদানি হাতে পোজ, ফ্রিজ খুলে মাছ-মাংস লোপাট, গণভবনে যাচ্ছেতাই কাণ্ড…
Bangladesh Photo Gallery: গণআন্দোলনের মুখে পড়ে দেশ ছাড়লেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। উত্তপ্ত পরিস্থিতির মধ্যেই সোমবার বাংলাদেশ ছাড়েন তিনি। বোন রেহানাও রয়েছেন সঙ্গে। সামরিক হেলিকপ্টারে বাংলাদেশ ছাড়েন হাসিনা।
শেখ হাসিনার 'গণভবন' দখল নিল বিক্ষোভকারীরা। আর এই ছবি মনে করাচ্ছে শ্রীলঙ্কার ছবি। কোথাও দেখা যাচ্ছে হাসিনার ঢাকাই শাড়ি গায়ে জড়িয়েছেন কোনও আন্দোলনকারী। কেউ আবার গণভবনে বেডরুমে ঢুকে বিছানায় শুয়ে আছেন বহালতবিয়তে।
বাংলাদেশের সবথেকে সংরক্ষিত এলাকা যেটি, যে ভবন থেকে দেশ পরিচালিত হয়, প্রধানমন্ত্রীর সেই বাসভবনের নাম গণভবন। বেলা যত বাড়ছে, সেখানে বাড়ছে মানুষের ভিড়।
স্লোগানে স্লোগানে মুখর হাসিনার বাসভবন। কেউ শাড়ি তুলে নিয়ে চলে আসছেন, কারও হাতে আবার হাসিনার বাড়ির পুকুরে চড়ে বেড়ানো রাজহাঁস।
কেউ আবার হাতে করে তুলে নিয়ে চলে এসেছেন বালিশ, তোষক। গণভবনে ঢুকে কার্যত তছনছ চলছে। মুক্তিযুদ্ধের নায়ক বঙ্গবন্ধুর মূর্তিতে চালানো হয়েছে হাতুড়ি।
ফ্রিজের ভিতর মাছ, মাংস রাখা। সেগুলি বের করে নিয়ে চলে যাচ্ছে। ড্রয়িং রুমে সাজানো রান্না করা নানা খাবার। সেইসব খাবার তুলে খেয়ে নিচ্ছেন কেউ কেউ।
গণভবনের লনে ঘুরে বেড়াচ্ছে মানুষ। সুইমিং পুলে শুধুই ভিড়। বাড়ির ভিতরে রয়েছে সাজানো কাঠের নৌকা। তাও নিয়ে বেরিয়ে পড়েছে। চেয়ার, টেবিল, চাদর, সোফা সবকিছু নিয়ে চলে যাচ্ছে।
গণভবনের ভিতরে যে যেমনভাবে পারছে তুলে নিচ্ছে থালা, বাটি থেকে নানা জিনিস। হাসিনার অফিস ঘরও তছনছ করা হয়েছে। রিক্সা নিয়ে ঢুকে পড়েছে গণভবনে।
পরিস্থিতি ভয়াবহ। বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায় আগুন জ্বলছে। বিভিন্ন জায়গায় ভাঙচুর চলছে। বঙ্গবন্ধুর মূর্তি ভাঙা, ছবিতে অগ্নিসংযোগ করা চলছে। বাংলাদেশে মন্ত্রীদের বাড়িতেও অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে।
গণভবন, বঙ্গভবন, বিজয় সরণি, সংসদ ভবন সর্বত্র আগুন জ্বলছে। সেনাপ্রধান জানিয়েছেন, দ্রুত অন্তর্বর্তী সরকার গঠন করা হবে।