Al-Bakhera Issue: বাংলাদেশ থেকে বস্তা বস্তা আরডিএক্স ঢুকেছে ভারতে? আল-বাখেরা জাহাজ নিয়ে বাড়ছে রহস্য
Al-Bakhera Issue: বাংলাদেশ পুলিশ গাঁজাখুরি গল্প খাওয়াচ্ছে। মেঘনা নদীতে আল-বাখেরা জাহাজে ঠিক কী ঘটেছে, তা গোপন করতেই গল্প ছড়ানো হচ্ছে। তা হলে কী ভারতীয় গোয়েন্দাদের আশঙ্কাই সত্যি?
1 / 8
একজনের পক্ষে কী একটা মালবাহী জাহাজকে চালিয়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব? একজনের পক্ষে কী একটা জাহাজকে ঘাটে নোঙর করানো সম্ভব? বাংলাদেশ জলপথ পরিবহণ ব্যবসায়ী সমিতি সাফ বলে দিল, সম্ভব নয়। বাংলাদেশ পুলিশ গাঁজাখুরি গল্প খাওয়াচ্ছে। মেঘনা নদীতে আল-বাখেরা জাহাজে ঠিক কী ঘটেছে, তা গোপন করতেই গল্প ছড়ানো হচ্ছে। তা হলে কী ভারতীয় গোয়েন্দাদের আশঙ্কাই সত্যি?
2 / 8
সত্যিই আল - বাখেরা জাহাজে চাপিয়ে ভারতে ঢোকানোর জন্য আরডিএক্স আনা হয়েছিল? আর সেটা চিরদিনের জন্য ধামাচাপা দিতেই জাহাজের প্রধান নাবিক সহ ৬ কর্মীকে খুন করা হয়? অন্তত তেমন সম্ভাবনাই দেখা যাচ্ছে। কেন এই কথা উঠছে? বাংলাদেশের জলপথ পরিবহণ সমিতি ওই দেশের পুলিশকে যে চিঠি দিয়েছে, তার থেকে কয়েকটা লাইন পড়লে বিষয়টা বোঝা যায়।
3 / 8
চিঠির বক্তব্য, অভিযুক্ত ব্যক্তি আকাশ ওরফে ইসমাইল জাহাজের মালবাহক হিসাবে কাজ করত। জাহাজ চালানোর কোনও অভিজ্ঞতা নেই। অথচ পুলিশ যা বলছে, তাতে দেখা যাচ্ছে, অভিযুক্ত আকাশ, একাই দু-ঘণ্টা জাহাজ চালিয়ে নিয়ে গিয়েছে। এটা অসম্ভব, হাস্যকর বটে। কখনই একজনের পক্ষে সেটা সম্ভব নয়। পুলিশ কী ঢাকা দেওয়ার চেষ্টা করছে তা জানা নেই।
4 / 8
গত বৃহস্পতিবার একটি এক্সক্লুসিভ খবর দিয়েছিল টিভি৯ বাংলা। জানানো হয়েছিল এই জাহাজ নিয়ে ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থার হাতে চাঞ্চল্যকর ইনপুট এসেছে। তাঁদের কাছে খবর, ভারতে বিস্ফোরণের জন্য ওইসব জাহাজে করে আইডিএক্স পাঠিয়েছে পাক গোয়েন্দা সংস্থা। পাকিস্তান থেকে চট্টগ্রাম বন্দর হয়েও বিস্ফোরক ঢুকেছে।
5 / 8
এই খবরে কার্যত শিলমোহর দিয়ে শনিবার আওয়ামি লিগ দাবি করে, হ্যাঁ, পাকিস্তান থেকে বস্তা, বস্তা বিস্ফোরক চট্টগ্রামে ঢুকেছে। যদি সত্যিই জাহাজে করে বিস্ফোরক আনা হয়, তা হলে সেগুলো কোথায় গেল? কোন পথে সেগুলো ভারতে আনার ছক ছিল? কাদের জন্য সেগুলো আনা হচ্ছিল? এখনও পর্যন্ত স্পষ্ট নয়।
6 / 8
নৌ-সেনা, আইবি, উপকূলরক্ষা বাহিনী সব সংশ্লিষ্ট রাজ্যগুলির পুলিশকে সতর্ক করা হয়েছে। একদিকে বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের উপর হামলা থামার নাম নেই। অন্যদিকে, সংখ্যালঘুদের জমি, বাড়ি দখলেও সক্রিয় ওদেশের কিছু কট্টরপন্থী লোকজন। ধর্মান্তরিত হতে রাজি না হওয়ায় হিন্দুদের কুপিয়ে খুন করছে কট্টরপন্থীরা।
7 / 8
ব্যাপারটা আর হিন্দুদের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নেই। ইউনুস সরকারের ফতোয়ায় এবার প্রথা মতো বড়দিন পালন করতে পারেননি বাংলাদেশের খ্রীস্টানরা। নববর্ষ পালনেও একাধিক ফতোয়া জারি করেছে। আতসবাজি পোড়ানো নিষিদ্ধ। ফানুস ওড়ানো যাবে না। চার্চে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে প্রার্থনা ও অন্য আচার শেষ করতে হবে ইত্যাদি, ইত্যাদি।
8 / 8
বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের উপর নির্যাতন বন্ধে রাষ্ট্রসংঘের হস্তক্ষেপ চাইছেন বিভিন্ন প্রবাসী বাংলাদেশি সংখ্যালঘুরা। বিশেষত ভারত, আমেরিকা, ব্রিটেন ও ফ্রান্সের কাছে এই নিয়ে উদ্যোগী হওয়ার আবেদন জানিয়েছেন তাঁরা। কিন্তু এসব করে আদৌ কিছু হবে কী? সরকার যেখানে কট্টরপন্থীদের কাছে আত্মসমর্পণ করে মজা দেখছে, সেই দেশের মাটিতে সুবিচারের আশা করা যায়, সোনার পাথর বাটির মতোই নয় কি?