
গত দু'বছর ধরে স্কুল বন্ধ। করোনার কারণে সরকারি নিয়ম মেনে বন্ধ রাখা হয়েছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। ফলে বাড়িতেই কখনও অনলাইনে ক্লাস করেছে পড়ুয়ারা। কখনও বা একদমই বন্ধ থেকেছে পড়াশোনা। তাই দরকার হয়নি স্কুলের পোশাকের। তবে এবার স্কুল খুলবে। এবার অনেক পড়ুয়াদেরই দেখা যাচ্ছে ছোট হয়ে গিয়েছে স্কুল ইউনিফর্ম। সেই কারণে জামা বানানোর হিড়িক ফের শুরু। আর তাই খুশির হাওয়া দর্জি পাড়ায়।

করোনার বাড়বাড়ন্তের কারণে গত দু'বছর ধরে বন্ধ ছিল স্কুল। সম্প্রতি রাজ্য সরকার ঘোষণা করেছে একদিকে যেমন স্কুল খুলবে অপরদিকে পাড়ায় পাড়ায় স্কুল চালু হবে। করোনা বিধি মেনে স্কুল গুলিতে ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে স্যানিটাইজ় করার কাজ।

সরকারের এই ঘোষণায় একদিকে যেমন খুশি স্কুল পড়ুয়া থেকে অভিভাবকেরা। অপরদিকে খুশি দর্জিরা।

বাড়িতে থেকে পড়ুয়াদের পুরোনো স্কুল ইউনিফর্মগুলি ছোটো হয়ে যাওয়ায় খানিকটা সমস্যায় পড়েছেন অভিভাবকেরা। তাই তারা নতুন ইউনিফর্ম বানানোর জন্য বাড়ির বাচ্চাদের নিয়ে ছুটছেন দর্জির দোকানে।

এদিকে, আচমকাই প্রচুর অর্ডার একসঙ্গে এসে পড়ায় নাওয়া খাওয়ার সময় নেই স্কুল পোশাক বিক্রেতা ও দর্জিদের। এদিন জলপাইগুড়ি দিন বাজারের স্কুল ইউনিফর্মের দোকান ও দর্জির দোকান গুলিতে প্রচুর পরিমাণ ভিড় লক্ষ করা গিয়েছে। আর এই ভিড় দেখে খুশি দর্জিরাও। করোনার কারণে অনেক ক্ষতি হয়ে গিয়েছে তাঁদের। আবার নতুন করে বায়না আশায় খুশি হয়েছেন তাঁরাও।