হাতেগোনা আর কয়েকটা দিন। আগামী ৩১ জানুয়ারি থেকে শুরু হবে কেন্দ্রীয় বাজেট অধিবেশন। চলবে ১৩ই ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। অধিবেশনের দ্বিতীয় দিন অর্থাৎ পয়লা ফেব্রুয়ারি ২০২৫-২৬ অর্থবর্ষের বাজেট পেশ করবেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। গতকালই মিটে গিয়েছে হালুয়া উৎসব। আপাতত লক-ইন পর্বে রয়েছেন বাজেট কমিটির সদস্যরা।
প্রতি বছরের মতোই এই বছরও বাজেটে কী কী পরিবর্তন হতে পারে, সেই দিকে মুখিয়ে রয়েছে গোটা দেশবাসী। আয়কর বিল সংক্রান্ত যে কিছু পরিবর্তন আসতে পারে, সেই খবর ইতিমধ্যেই ছড়িয়ে গিয়েছে দেশজুড়ে। এখন শুধু অপেক্ষা অর্থমন্ত্রীর সিলমোহরের। এছাড়াও, বাজার-দরে লাগা মূল্যের আগুন কমাতেও কী কোনও সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে কেন্দ্রীয় সরকার? নজর থাকবে সেই দিকেও। তবে জানেন কি পাঁচটি এমন বাজেট, যা নাড়িয়ে দিয়েছিল গোটা দেশবাসীকে।
১৫ই আগস্ট স্বাধীন হয়েছিল ভারত। এরপর দেশকে নতুন দিশা দেখাতে ১৯৪৭ সালের ২৬ নভেম্বর দেশের প্রথম বাজেট পেশ করেছিলেন স্বাধীন ভারতের প্রথম অর্থমন্ত্রী শানমুখম চেট্টি। এটাই প্রথমবার যখন গোটা দেশবাসী জেনেছিল, দেশকে চালানোর জন্য একটা আর্থিক বাজেটের প্রয়োজন। জানা যায়, এই বাজেটের গোটা টাকাটাই দেশের তৎকালীন মন্দা পরিস্থিতিকে সামাল দিতে নির্ধারণ করা হয়েছিল।
বহু বিশেষজ্ঞই ১৯৮৬ সালে প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী ভিপি সিংহের পেশ করা বাজেটকে গাজর ও লাঠি বাজেটের তকমাই দিয়ে থাকেন। কিন্তু কেন? এই বাজেটের হাত ধরেই ভারতের লাইসেন্স রাজে দাঁড়ি টেনে দেশের অর্থনীতিকে খানিকটা উন্মুক্ত করেছিলেন তৎকালীন অর্থমন্ত্রী।
সাল ১৯৯১। গোটা দেশ তখন আর্থিক কষ্টে যুজছে। ধসে গিয়েছে দেশের অর্থনীতি। বাড়ছে ঘাটতি। সে বছর একেবারে ভাঁড়ে মা ভবানী দশা হয়েছিল ভারতের। এমন পরিস্থিতিতে দেশের অর্থনীতিকে ঘুরিয়ে দিতে, বিশ্ব দরবারের উন্মুক্ত হয়েছিল ভারত। যা আজও ইতিহাসের ভারতের ইকোনমিক লিবারালাইজেশন নামে খ্য়াত। তৎকালীন অর্থমন্ত্রী মনমোহন সিংহের হাত ধরেই হয়েছিল এই অসাধ্য সাধন।
সেই বছর পেশ হয়েছিল স্বপ্নের বাজেট। স্বপ্নটা ছিল দেশের সাধারণ নাগরিকের। এই বাজেটটাও ছিল নাগরিকের। সাল ১৯৯৭। তৎকালীন পি চিদামবরমের হাত ধরে কমেছিল ট্যাক্সের হার। আকাশ দেখেছিল সাধারণ মানুষ।
সহস্রাব্দ বাজেট বা মিলেনিয়াম বাজেট হল এমন একটি বাজেটের যার হাত ধরে হাজার বছর এগিয়ে গিয়েছিল ভারত। বিংশ শতাব্দীর শুরুতেই প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী যশবন্ত সিনহার হাত ধরে মন্ত্রিসভায় পেশ হয়েছিল এই বাজেট। যার মাধ্যমে প্রথমবার গতি পেয়েছিল দেশের তথ্য প্রযুক্তি শিল্পগুলি।