
লুচি, পরোটা থেকে শুরু করে বিভিন্ন নিরামিষ তরকারি আর মিষ্টি- ঘি ছাড়া ভাবাই যায় না। আমিষ হোক বা নিরামিষ খাবার এক চামচ ঘি-এর গুণেই খাবারের স্বাদ বদলে যায়। গরম ভাতে এক চামচ ঘি-এর মাহাত্ম্যই আলাদা। আর তাই এই ঘি আপনি ব্যবহার করতে পারেন রূপপর্চাতেও।

সময়ের অভাবে নিয়ম করে ত্বকের যত্ন না নিতে পারলে কাজে লাগান ঘি। এতে হরমে ত্বকের আর্দ্রতা যেমন বজায় থাকবে তেমনই গ্লোয়িং ভাবও বজায় থাকবে। ঘি এর এই উপকারিতার জন্যই কিন্তু ঠাকুর-দেবতাদের ঘি-মধু-দুধ দিয়ে স্নান করানোর রীতি রয়েছে।

ঘি-এর মধ্যে রয়েছে বেশ কিছু অ্যান্টি-এজিং উপাদান। যা বলিরেখার হাত থেকে আমাদের রক্ষা করে। সেই সঙ্গে মুখের কালো দাগছোপ তুলতেও কিন্তু ভূমিকা আছে ঘি-এর। ঘি-এর সঙ্গে মধু মিশিয়ে মাখুন উপকার পাবেন।

রোজ স্নানের আগে ঘি, বেসন আর সামান্য গোলাপ জল মিশিয়ে বানিয়ে নিন এই বডি স্ক্রাব। স্নানের আগে ২০ মিনিট লাগিয়ে রেখে ধুয়ে ফেলুন। এতে ত্বক নরম হবে, তবে ঘি-এর প্যাক লাগিয়ে ইষদুষ্ণ গরম জলে মুখ ধোবেন। এতে কাজ হবে অনেক বেশি।

কাজের চাপে ঘুম কম হচ্ছে? বাড়ছে ডার্ক সার্কেলের সমস্যা? তাহলে আজ থেকেই ঘি-ব্যবহার করা শুরু করুন। রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে আঙুলে সামান্য ঘি-নিয়ে চোখের তলায় লাগান। এতে দূর হবে ডার্ক সার্কেলের সমস্যা। সেই সঙ্গে ফিরে আসবে ত্বকের জেল্লাও

রোজ গরম ভাতে ঘি-খেলে শরীরের একাধিক সমস্যার সমাধান হয়। চুলের গোড়া শক্ত হয়। সেই সঙ্গে চুল পড়াও কমে যায়।