
টি ট্রি অয়েলের রয়েছে হাজার গুণ। অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি, অ্যান্টি-ফাঙ্গাল এবং অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল উপকরণ হিসেবে বিখ্যাত এই টি ট্রি অয়েল। ত্বকের পরিচর্যা থেকে শুরু করে বিভিন্ন ইনফেকশন দূর করতে দারুণ ভাবে কাজে লাগে টি ট্রি অয়েল।

ত্বকের অনেক সমস্যার মধ্যে অন্যতম হল ব্রন। এই ব্রনর সমস্যায় প্রায় সকলেই ভুক্তভোগী। বিশেষ করে যাঁদের স্ক্রিন খুব অয়েলি, তাঁদের ক্ষেত্রে ব্রনর সমস্যা দেখা দেয় বেশি। এই ব্রন দূর করতে কাজে লাগে টি ট্রি অয়েল।

যেকোনও কাটাছেঁড়া বা ক্ষতস্থান তাড়াতাড়ি শুকনোর ক্ষেত্রে কার্যত ম্যাজিকের মতো কাজ করে টি ট্রি অয়েল। হাত-পায়ে ছোটখাটো আঘাত আমরা দৈনন্দিন কাজের মধ্যে পেয়ে যাই। তখন চট করে সামান্য টি ট্রি অয়েল লাগিয়ে নিয়ে বেশ উপকার পাবেন।

করোনা আবহে হ্যান্ড স্যানিটাইজার আমাদের সর্বক্ষণের সঙ্গী। টি ট্রি অয়েল মেশানো স্যানিটাইজার কিন্তু খুবই উপকারি। কারণ এটি একটি অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল উপকরণ। ফলে রোগ-জীবাণু দূরে রাখতে সাহায্য করে।

বর্ষাকালে নখের ইনফেকশন হয় সবচেয়ে বেশি। কারও ক্ষেত্রে মারাত্মক ভাবে ছড়িয়ে যায় ফাঙ্গাল ইনফেকশন। নখ এবং তার চারপাশের ত্বকে কোনও ইনফেকশন হলে তা দূর করতে সাহায্য করে টি ট্রি অয়েল।

স্কিন র্যাশ বা ত্বকে কোনও চুলকানি, অ্যালার্জি দেখা দিলে সেক্ষেত্রে কাজে লাগে টি ট্রি অয়েল। অ্যালার্জি বা র্যাশের ফলে চুলকানি হলে, টি ট্রি অয়েল লাগালে তা নিমেষেই কমে যায়। জ্বালা যন্ত্রণা হলে সেই সমস্যাও দূর হয় অল্প সময়ে।

ত্বকের পরিচর্যায় ঘরোয়া ফেসপ্যাক তৈরি করলে সেখানে সামান্য টি ট্রি অয়েল মিশিয়ে নিতে পারেন। এছাড়া অলিভ অয়েল বা নারকেল তেলের সঙ্গে এমনিই টি ট্রি অয়েল মিশিয়ে মুখে লাগাতে পারেন। এর ফলে ত্বকের জেল্লা ফিরবে। কালচে দাগ-ছোপ দূর হবে।