বিয়ের আগে কোন কোন দিকে খেয়াল রাখলে বিয়ের দিন আপনাকে পারফেক্ট কনে বলে মনে হবে, তার জন্য রইল কিছু গুরুত্বপূর্ণ টিপস...
কোনও মতেই ক্লিনজিং, টোনিং, ময়শ্চারাইজিং- এই তিন পদ্ধতিকে বাদ দেওয়া যাবে না। ত্বকের সঠিক পরিচর্চা করতে ও তারুণ্য বজায় রাখতে এই প্রক্রিয়া অনুসরণ করা দরকার।
বিয়ের ঠিক ৬ মাস আগে থেকে ত্বকের প্রতি যত্নশীল হলে ভাল হয়। প্রতি মাসে ফেসিয়াল করলে ত্বক সুরক্ষিত থাকে। হাতে যদি তেমন সময় না থাকে, তাহলে দু-সপ্তাহ অন্তর ফেসিয়াল করতে পারেন।
মুখের সঙ্গে সঙ্গে হাত ও পায়েরও খেয়াল রাখতে হবে। প্রতি রাতে শোওয়ার আগে, হাতে ও পায়ে অলিভ অয়েল দিয়ে মাসাজ করতে পারেন। শুষ্ক ত্বকের জন্য স্নানের সময় পা পরিস্কার করতে পিউমিস স্টোন ব্যবহার করতে পারেন।
হাতে ও পায়ের লোম নির্মূল করার দিকে যথেষ্ট খেয়াল রাখতে হবে। এক মাস অন্তর বা এক সপ্তাহ অন্তর যত্ন নিয়ে লোম নির্মূল করতে পারেন। বিয়ের আগে থেকে এই অভ্যেস তৈরি করতে পারলে ভাল হয়।
শুধু ত্বকের খেয়াল নয়, ফিট ও অতিরিক্ত মেদ ঝরাতে দরকার নিয়মিত শরীরচর্চা। ৪ মাস কঠিন ওয়ার্কআউট করলে শরীরের অতিরিক্ত মেদ ঝরে যাওয়া সম্ভব। ফিট ও স্লিম থাকলে বিয়ের দিন পছন্দের পোশাক পরে সুন্দর যে লাগতে হবে কনেকে। তারজন্য জিম যাওয়া শুরু দিন।
প্রতিদিন ১৫ মিনিট যোগা বা ধ্যান করুন। মানসিক চাপ, বিয়ে নিয়ে স্ট্রেস, নতুন পরিবেশ নিয়ে ভীতি ও প্রেসারকে দূরে ঠেলতে মেডিটেশন মোক্ষম দাওয়াই।
চোখের নীচে যাতে ডার্ক সার্কেল না পড়ে তার জন্য দরকার পর্যাপ্ত ঘুম। গভীর ঘুম হলে ত্বক ও স্বাস্থ্য -উভয়ই সুস্থ থাকে।
- সারাদিনে প্রচুর পরিমাণে জল খান। ৮-১০ গ্লাস জল পান করুন। পাশাপাশি প্রোটিন ও সবুজ শাকসবজি খাওয়ার অভ্যেস করুন। নারকেলের জল, ফল, সবজি দিয়ে তরকারি খান । জাঙ্ক ফুড, চিপস, চকোলেট যতোটা পারেন এড়িয়ে চলুন।
বিয়ের দিন যাতে ত্বকের উজ্জ্বলতা কমে না যায়, তার জন্য ফেসিয়াল প্রোডাক্ট ও অন্যান্য জিনেসর প্রতি নজর রাখুন।