Bangla News Photo gallery Bhoot Chaturdashi 2023: Why is the tradition of lighting 14 vegetables and 14 lamps observed on this day?
Bhoot Chaturdashi 2023: বাঙালির হ্যালোইন কবে? ১৪ শাক ও ১৪ প্রদীপ জ্বালানোর রীতি কেন পালন করা হয় এদিন?
TV9 Bangla Digital | Edited By: দীপ্তা দাস
Nov 05, 2023 | 4:52 PM
Narak Chaturdashi 2023: হিন্দু ধর্ম অনুসারে, ভূত চতুর্দশীর দিন দুপুর চৌদ্দ শাক খাওয়ার চল রয়েছে। এরপর সন্ধ্যেবেলা ১৪টি প্রদীপ জ্বালানো উচিত। প্রচলিত রীতি অনুসারে, প্রতিটি বাঙালি এদিন ঘরে ঘরে ১৪টি তিলের প্রদীপ আলাদা করে রাখা হয়। তারপর একসঙ্গে জ্বালাতে হয়।
1 / 9
ক্যালেন্ডার অনুযায়ী, প্রতি বছর আশ্বিন মাসের কৃষ্ণপক্ষের পালিত হয় চতুর্দশী তিথি। কালীপুজোর সঙ্গে এই ভূতচতুর্দশীর সম্পর্ক রয়েছে। কালীপুজোর ঠিক এক রাত আগে পালিত হয় বাঙালির ভূত চতুর্দশী বা নরক চতুর্দশী। এদিন বাংলার ঘরে ঘরে প্রদীপ জ্বালানো ও শাক খাওয়ার চল রয়েছে। পৌরাণিক কাহিনি অনুসারে, এদিন শ্রীহরির ভক্ত প্রহ্লাদের পৌত্র দৈত্যরাজ বলির স্বর্গরাজ্য দখল করে দেবতাদের তাড়িয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা করেছিলেন। এরফলে স্বর্গের সব দেবতারা ভগবান বিষ্ণুর শরণাপন্ন হয়েছিলেন।
2 / 9
বলিরাজাকে দমন করতে শ্রীহরি বামন রূপ ধারণ করে আবির্ভাব হয়েছিলেন। দাবি করেছিলেন তিনটি চরণ রাখার জায়গা। বলি রাজা এতে রাজি হলে বিষ্ণুর তাঁর পরীক্ষা নিচ্ছেলেন তা তিনি বুঝতে পারেননি। তৃতীয় পা কোথায় রাখবেন, তা জিজ্ঞাসা করলে বলিরাজা নিজের মাথা পেতে দেন। সেই তৃতীয় পা দিয়েই বলিরাজাকে পাালে প্রেরণ করেছিলেন। তবে বলিরাজা এই আত্মহুতি দেখে শ্রীবিষ্ণু তাঁকে অমরত্ব প্রদান করেছিলেন। সেই সঙ্গে বছরভর একটি দিন তাঁকে ভূত-প্রেতাত্মা-পিশাচ-অশরীরীর সঙ্গে এই পৃথিবীতে আসার অনুমতি দেন। সেই দিনটিকে বলা হয় ভূত চতুর্দশী।
3 / 9
হিন্দু ধর্ম অনুসারে, ভূত চতুর্দশীর দিন দুপুর চৌদ্দ শাক খাওয়ার চল রয়েছে। এরপর সন্ধ্যেবেলা ১৪টি প্রদীপ জ্বালানো উচিত। প্রচলিত রীতি অনুসারে, প্রতিটি বাঙালি এদিন ঘরে ঘরে ১৪টি তিলের প্রদীপ আলাদা করে রাখা হয়। তারপর একসঙ্গে জ্বালাতে হয়।
4 / 9
ভূত চতুর্দশীর দিন তেলের প্রদীপ জ্বালিয়ে যমদ্বীপ দান করার বিধান রয়েছে। বলিরাজার অশরীরী-আত্মা বা ১৪ পূর্বপুরুষের প্রেতাত্মা ছাড়াও এদিনের সঙ্গে রয়েছে ভৌতিক ব্যাপার-স্যাপারও রয়েছে।
5 / 9
পুরাণমতে, এদিন স্বর্গ ও নরকের দ্বার কিছুক্ষণের জন্য খুলে দেওয়া হয়। সেই দরজা দিয়ে পরলোকে গমন করা আত্মারা নিজেদের গৃহে ফিরে আসেনয তাই পিতৃকুল ও মাতৃকুলের ১৪ জন অশরীরী আত্মারা নেমে আসেনগৃহস্থের বাড়িতে।
6 / 9
হিন্দুধর্ম মতে, মৃত্যুর পর আত্মারা প্রকৃতির মধ্যে বিলীন হয়ে যায়। একে বলা পঞ্চভূত। এদিন ১৪ শাক খেয়ে ১৪ পূর্বপুরুষদের শ্রদ্ধা জানানো হয়। এদিন ১৪ শাক ধোওয়ার পর বাড়ির প্রতিটি কোণে জল ছিটিয়ে দেওয়া হয়। ওল, কেঁউ. বেতো, সর্ষে, কালকাসুন্দে, নিম, জয়ন্তী, শাঞ্চে, পলতা, শৌলফ, গুলঞ্চ. শুশনী, ভাঁটপাতা, পলতা পাতা দিয়ে শাক রান্না করা হয়।
7 / 9
এই শাক খাওয়ার পিছনে রয়েছে বৈজ্ঞানিক কারণ। আশ্বিন ও কার্তিক মাসকে যমদষ্টা কাল বলা হয়। এই সময় শীতের মরসুম শুরু হয়। যার ফলে মানুষের মধ্যে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়। তাই রোগভোগ থেকে রক্ষা পেতে এই ১৪ শাক ভক্ষণের নিয়ম রয়েছে।
8 / 9
শাস্ত্রমতে, ভূত চতুর্দশীর দিন বাড়ির প্রবেশদ্বারে ধান রেখে তিলের প্রদীপ জ্বালিয়ে যদদ্বীপ দান করার রীতি রয়েছে। যম চতুর্দশীর দিন গঙ্গাস্নান করারও নিয়ম রয়েছে। এদিন গঙ্গাস্নান করলে মৃত্যুর পর আর নরকে যেতে হয় না।
9 / 9
ধর্মরাজ, মৃত্যু, অন্তক, বৈবস্বত, সর্বভূতক্ষয়, যম, দম্ন, নীন, পরমেষ্ঠী, বৃকোদর, চিত্রগুপ্ত, উড়ুম্বর - ১৪ জন যমরাজের উদ্দেশ্যে তর্পন করার রীতি রয়েছে। ভূত, পিশাচ, প্রেত থেকে বাঁচতে ও অশুভ শক্তিকে তাড়াতে ১৪টি প্রদীপ জ্বালানো হয়।