TV9 Bangla Digital | Edited By: শর্মিষ্ঠা চক্রবর্তী
May 10, 2022 | 3:58 PM
ধূ ধূ প্রান্তর। অল্প হাওয়াতেই ধূলো উড়ছে হু হু করে। মাটির তিন রাস্তার মোড়ে একটি ভবন। তার দেওয়ালে একটা তির চিহ্ন আঁকা। শিল্পী ভুবন বাদ্যকারের নয়া ঠিকানার দিক নির্দেশ করছে। বীরভূমের লক্ষ্মীনারায়ণপুর গ্রাম। সেই দিক ধরে পূর্ব দিকে এগোতেই ভুবন বাদ্যকারের প্রসাদোপম বাড়ি। গ্রামের সব গলিতে হয়তো বিদ্যুতটাও এখনও পৌঁছয়নি। সেখানে একটা অত্যাধুনিক প্রযুক্তি সম্পন্ন ঝাঁ চকচকে আদ্যোপান্ত দামি পাথরে মোড়ে বাড়িটি আক্ষরিক অর্থেই রাজপ্রাসাদ। বাদামকাকু ভুবন বাদ্যকারের বাড়ি।
দু'কাঠা জমির পুরোটাই জুড়ে এক তলা। সামনে কিছুটা জায়গা ছাড়!কী নেই তাতে! রয়েছে তিনটি শোওয়ার ঘর, ড্রয়িং রুম, ডাইনিং জোন, দুটো অত্যাধুনিক জিনিসপত্র দিয়ে সাজানো বাথরুম।
গোটাটাই মার্বেল-টাইলসের। ভিতরে চলছে ইন্টেরিয়রের কাজ। একনজরে দেখে নেওয়া যাক ভুবন বাদ্যকারের প্রাসাদের অন্দরমহল।
ঘুরে ঢুকতেই প্রথমে বারান্দা। তারপরেই বসার ঘর। সেখানে ফলস সিলিংয়ের কাজ প্রায় শেষ। ছাদে নীলাভ আলোর বর্ডার। সেখানে বসবে মূল্যবান সোফা সেট আর টি টেবিল।
ড্রয়িং রুমের গা ঘেঁষে এগোতেই শোওয়ার ঘরগুলি পাশে। বাদামকাকুর খাটও তৈরি হচ্ছে বিলাসবহুলভাবেই। থাকছে আবার নরম হেডরেস্ট।
এরপর আসা যাক, ডাইনিং জোনে। সেখানে নজর কাড়বে মূলত ডাইনিং টেবিলটিই, যেটি এখনও বানানো চলছে। সেগুন কাঠের তৈরি হচ্ছে বাদামকাকুর ডাইনিং টেবিল, পিছনের বাগানমুখী ওপেন কিচেন থেকে দেখা যাবে গোটাটাই।
গোটা বাড়িতেই হচ্ছে ফলস সিলিং, বসছে ওয়ার্ম লাইট। কিছু কিছু জায়গায় নীলাভ আলোর খেলা থাকছে। বাড়ির কাজ এখনও সম্পন্ন হয়নি।
এখনও পর্যন্ত ৬ লক্ষ টাকা খরচ হয়ে গিয়েছে। আরও অন্তত লাখ সাতেক টাকা খরচ হবে বলে মনে করছেন শিল্পী। তাছাড়া তো রয়েছে ইন্টেরিয়রের কাজ। সবমিলিয়ে লাখ কুড়ির কাছাকাছি খরচ রয়েছে।
একটা এক কামরার ঘর, পাতার ছাউনি ছিল মাথায়। ঝড়বৃষ্টিতে সেই ছাউনি আবার উড়েও যেত। বৃষ্টিতে জল পড়ত ছাদ চুঁইয়ে। সেই ঘর থেকেই কখন যে আকাশ ছোঁয়ার স্বপ্নটা দেখতে শুরু করেছিলেন তিনি, তা নিজেও জানেন না। হয়তো ওত্ত কিছু না ভেবেই কাঁচা বাদাম গানটা লিখেছিলেন। নেহাতই তাঁর ব্যবসায়িক স্বার্থে, যাতে গানে আকৃষ্ট হয়ে তাঁর ঝুলির বাদামে নজর দেন ক্রেতারা। আজ সেই গানের জোরেই তিনি শিল্পী, লক্ষাধিক টাকার মালিক, ভাইরাল! বাদামকাকুর স্পষ্ট কথা, 'সবটাই আপনাদের আর্শীবাদ।'