
ওজন বেড়ে যাওয়া, চুল পড়া, ঘন ঘন সর্দি-কাশি, ব্রণ, অ্যানজাইটি—এসব সমস্যার পিছনে দায়ী থাকতে পারে থাইরয়েড হরমোনের ভারসাম্যহীনতা। কিন্তু তবু মানুষ এই শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে সচেতন নয়।

থাইরয়েডের হরমোনের তারতম্যের কারণে ওষুধ খেতেই হবে। পাশাপাশি নজর রাখতে হবে ডায়েটের উপরও। থাইরয়েড হরমোনের কার্যকারিতা বজায় রাখতে ভেষজ উপাদান ও মশলার উপর ভরসা রাখতে পারেন।

আয়ুর্বেদে ব্যাপক ব্যবহার রয়েছে অশ্বগন্ধার। এই ভেষজ উপাদানের মধ্যে অ্যালকালয়েড, স্টেরোইডাল ও স্যাপোনিন নামের যৌগ রয়েছে। এগুলো থাইরয়েড হরমোনের কার্যকারিতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। পাশাপাশি T4 হরমোনের উৎপাদন ঠিক রাখে।

দৈনন্দিন জীবনে আদা উপকারিতা গুণে শেষ করা কঠিন। হাইপোথাইরয়েডের উপসর্গগুলোকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে আদা দারুণ উপকারী। তাছাড়া হরমোনের ভারসাম্যহীনতার কারণে বাড়তি ওজনকেও কমাতে সাহায্য করে আদা।

সজনে ডাঁটা যেমন খান, তেমনই সজনে পাতার সঙ্গেও বন্ধুত্ব করুন। সজনে পাতা থাইরক্সিন ও ট্রিয়োডোথাইরোনিনের মাত্রা বজায় রাখতে সাহায্য করে। এছাড়া রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতেও সাহায্য করে সজনে পাতা। সজনে পাতার বদলে সজনে পাতার গুঁড়োও খেতে পারেন।

কালো জিরে থাইরয়েডের চিকিৎসায় দারুণ উপকারী। এই মশলা TSH-এর মাত্রা কমাতে সাহায্য করে এবং T3-এর মাত্রা বজায় রাখতে সাহায্য করে। পাশাপাশি শারীরিক প্রদাহ কমায় কালো জিরে।

যষ্টিমধু থাইরয়েড হরমোনের কার্যকারিতা বজায় রাখতে সাহায্য করে। পাশাপাশি অক্সিডেটিভ চাপ কমাতে সাহায্য করে যষ্টিমধু। এমনকী কর্টিসল হরমোনের মাত্রা কমাতেও সাহায্য করে যষ্টিমধু। যার জেরে থাইরয়েডের হরমোনের মাত্রা বজায় থাকে।

লেমন বাম থাইরয়েডের চিকিৎসার জন্য উপকারী। TSH-এর মাত্রা বজায় রাখতে সাহায্য করে লেমন বাম। এটি দেহে অ্যান্টিবডি গঠনেও সাহায্য করে। তাই ভেষজ উপাদানকে অবশ্যই ডায়েটে রাখবেন।