বাংলাদেশে পাচারের আগেই সীমান্ত থেকে উদ্ধার করা হল কোটি টাকার সোনা। একট লরিতে করে সোনা পাচারের চেষ্টা করা হচ্ছিল। লরির ভিতর থেকে কয়েক কোটি টাকার সোনার বাট উদ্ধার করা হয়েছে। এই ঘটনায় ধৃত দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বসিরহাট মহকুমার বসিরহাট থানা এলাকার ঘোজাডাঙায় ভারত-বাংলাদেশে সীমান্তের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে ওই সোনা।
বিএসএফ জওয়ানদের সন্দেহ হওয়া তল্লাশি চালায় তারা। এরপরই ওই সোনা উদ্ধার হয়। জানা গিয়েছে, একটি ট্রাক আজ সকালে ঘোজাডাঙা সীমান্ত হয়ে বাংলাদেশে ঢুকছিল। সেই সময় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর ১৫৩ নম্বর জওয়ানদের সন্দেহ হলে তারা তল্লাশি চালায়। তল্লাশির করতে গিয়ে চক্ষু চড়কগাছ জওয়ানদের। ট্রাক চালকের কেবিনের তলা থেকে ১৬টি সোনার বাট উদ্ধার হয়। যার ওজন ২ কেজি ২৪০ গ্রাম। এই পরিমান সোনার বাজার মূল্য বর্তমানে কয়েক কোটি টাকা।
হাতেনাতে পাকড়াও করা হয় গাড়িচালক কমল হাসান ও খালাসি রজব ঢালীকে। ধৃতরা ট্রাকে যাওয়ার সময় এই সোনার বাটগুলি পাচার করছিল বলে অভিযোগ। ধৃত দু’জনের বাড়ি বসিরহাটের ইটিন্ডা ও পানিতরে। ধৃত দুই সোনা পাচারকারীদের বসিরহাট থানার পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। এদের সঙ্গে কোনও আন্তর্জাতিক সোনা পাচারকারীদের যোগসুত্র আছে কি না, তা তদন্ত করে দেখছে সীমান্তরক্ষী বাহিনী ও পুলিশ। এই ঘটনায় রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে ঘোজাডাঙার আমদানি ও রফতানি সংস্থার ব্যবসায়ীদের মধ্যে।
বিএসএফের তরফে জানা গিয়েছে, তাদের কাছে আগে থেকেই এই বিষয়ে খবর ছিল। সেই মতো জওয়ানরা অপেক্ষা করছিলেন সীমান্তে। জানা গিয়েছিল, বাংলাদেশ থেকে একটা ফাঁকা ভারতীয় ট্রাক আসবে আর তাতে থাকবে চোরাই সোনা। সেই মতো ট্রাক ঢুকতেই চালক ও খালাসিকে নামিয়ে তল্লাশি চালানো হলেই বেরিয়ে আসে ওই সোনা।