
বেসরকারি চাকরি যাঁরা করেন তাঁরা পিএফ, গ্র্যাচুইটির নামে শোনেননি এটা হতে পারে না। প্রভিডেন্ট ফান্ড প্রতি মাসে কর্মচারীর থেকে কিছুটা আর সংস্থার থেকে কিছুটা করে নিয়ে একটা জায়গায় জমা হয়। আর কর্মচারী যখন অনেকদিন চাকরি করার পর তা ছেড়ে দেয় তখন সংস্থার তরফে ধন্যবাদ দেওয়ার মতো ওই কর্মীকে গ্র্যাচুইটি দেওয়া হয়।

গ্র্যাচুইটি অ্যাক্ট ১৯৭২ অনুযায়ী কোনও সংস্থায় ৫ বছর টানা চাকরি করলে সেই কর্মচারী গ্র্যাচুইটি পাওয়ার জন্য যোগ্য বলে বিবেচিত হয়।

এ ছাড়াও কোনও কর্মচারী অবসর গ্রহণ করলে সে গ্র্যাচুইটি পাওয়ার যোগ্য বলে বিবেচিত হন। বা কোনও কর্মচারীর অকাল মৃত্যু হলে তার পরিবার গ্র্যাচুইটি পায়।

কত গ্র্যাচুইটি কোনও কর্মচারী পাবেন তার একটা সহজ হিসাব আছে। কোনও ব্যক্তি ঠিক যত বছর কাজ করেছেন সেটা ধরতে হবে। তবে, ৬ মাসে বেশি কাজ করলে সেটা ১ বছর ধরা হবে। যেমন ৫ বছর ৭ মাস হলে সেটা ৬ বছর ধরা হবে। আবার ৫ বছর ৫ মাস হলে সেটা ৫ বছর ধরা হবে।

কত বছর এক্সাকরি করেছেন, তার সঙ্গে শেষ মাসে বেসিক স্যালারি হিসাবে কত টাকা পেয়েছেন, তার উপর নির্ভর করে গ্র্যাচুইটি হিসাব করা হয়।

কোনও সংস্থা যদি ১৯৭২ সালের গ্র্যাচুইটি আইনের মধ্যে পড়ে তাহলে তাকে গ্র্যাচুইটি দিতেই হয়।

গ্র্যাচুইটি কত পাওয়া যাবে সেটা জানার জন্য একটা হিসাব করতে হয়। এই হিসাবে এক মাসকে ২৬ দিনের ধরা হয়। কারণ বাকি ৪ দিন রবিবার হিসাবে ধরে। ১ বছরে ১৫ দিনের টাকা পাওয়া যায় এই গ্র্যাচুইটির মাধ্যমে।

প্রথমে শেষ মাসের বেসিক স্যালারির হিসাব অনুযায়ী ১৫ দিনের স্যালারি বের করতে হবে। অর্থাৎ, শেষ মাসের বেসিক স্যালারিকে ২৬ দিয়ে ভাগ করলে ১ দিনের স্যালারি বেরবে। তারপর তাকে ১৫ দিয়ে গুণ করলেই বেরোবে ১৫ দিনের স্যালারি। তার সঙ্গে যত বছর সার্ভিস করেছেন ওই ব্যক্তি, তা দিয়ে গুণ করতে হয়। তাহলেই বেরিয়ে যায় গ্র্যাচুইটি।

কোনও ব্যক্তি যদি ৫ বছর কোনও সংস্থায় চাকরি করে। ও চাকরি ছাড়ার সময় তার মাসিক স্যালারি হয় ২০ হাজার টাকা। তাহলে ওই কর্মচারী ৫৭ হাজার ৬৯২ টাকা গ্র্যাচুইটি হিসাবে পাবে।