
গরম পড়েছে প্রচণ্ড। বইছে তাপপ্রবাহ। শরীর তো ঠান্ডা রাখতে হবে। তার জন্য ঠান্ডা ঠান্ডা তরমুজে কামড় বসাচ্ছেন অনেকেই। কিন্তু সত্যি কি তরমুজ খাচ্ছেন নাকি বিষে কামড় বসাচ্ছেন?

এই গরমে শরীরে যাতে জলের মাত্রা কমে না যায়, তার জন্য আম, তরমুজ, লিচুর মতো মরশুমি ও জলীয় ফল খাওয়ার পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা। কিন্তু সেই মরশুমি ফলেও লুকিয়ে রয়েছে বিষ।

এখনও আম, লিচুর সঙ্গে বাজার ছেয়ে রয়েছে তরমুজ। কিন্তু, এখন অনেকেই তরমুজ কিনতে গিয়ে ঠকে যাচ্ছেন। বাড়িতে গোটা তরমুজ এনে কাটার পর দেখা যাচ্ছে, সেরকম রসাল ও মিষ্টি নয়

সময়ের আগেই যাতে তরমুজ পেকে যায় বা লাল দেখায় এবং বেশিদিন টেকে, তার জন্য এরিথরোসিন নামক এক ধরনের রাসায়নিক মেশানো থাকে, যা শরীরের পক্ষে অত্যন্ত ক্ষতিকর।

কীভাবে বুঝবেন কোনটা আসল, কোনটা নকল তরমুজ? তরমুজ কেটে যদি তার রসালো অংশে একটি তুলোর বল ঘষেন এবং তুলোটি লাল হয়ে যায়, তবে বুঝবেন রাসায়নিক প্রয়োগ করা হয়েছে তরমুজে।

তরমুজের উপরে যদি সাদা গুড়ো পাউডারের মতো কোনও জিনিস দেখতে পান, তবে খুব সাবধান। এটা কার্বাইড হতে পারে, যা তরমুজ পাকানোর জন্য ব্যবহার করা হয়েছে।

আসল তরমুজ চেনার সহজ উপায় হল, তরমুজের উপরে হলুদ চিহ্ন। এর প্রমাণ হল তরমুজটি প্রাকৃতিকভাবে পেকেছে। এতে কোনও রাসায়নিক প্রয়োগ হয়নি।

যদি মাটির মতো জাল বা ঘষে যাওয়ার মতো চিহ্ন থাকে, তাহলেও বুঝবেন তরমুজটি আসল।