
ঘূর্ণিঝড় মান্দাসের প্রভাবে তামিলনাডৃুতে কমপক্ষে চারজনের মৃত্য়ু হয়েছে। কাঁচা ও পাকাবাড়ি মিলিয়ে প্রায় ১৮১ টি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ৪০০-রও বেশি গাছ উপড়ে পড়েছে।

শনিবারের বিকেলে শক্তি হারিয়ে নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে ঘূর্ণিঝড় মান্দাস। আগামী ১২ ঘণ্টায় আরও দুর্বল হবে এই নিম্নচাপ। তবে বিদায় নেওয়ার আগে তাণ্ডব চালাল বঙ্গোপসাগরের উপরে তৈরি হওয়া এই ঘূর্ণিঝড়।

শুক্রবার মধ্য রাতে তামিলনাড়ুর মহাবলিপুরম দিয়েই স্থলভাগে প্রবেশ করেছিল ঘূর্ণিঝড় মান্দাস। শনিবার সারাদিন ধরেই ঘূর্ণিঝড়ের দাপট দেখা যায় তামিলনাড়ু ও অন্ধ্র প্রদেশে।

ঘূর্ণিঝড়ের প্রকোপ থেকে বাঁচতে রাজ্য জুড়ে ২০১টি ত্রাণ শিবিরে ৯১৩০ জনকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। একাধিক এলাকায় বিদ্যুতের খুঁটি উপড়ে যাওয়ায় ও তার ছিড়ে যাওয়ায় বিদ্যু সরবরাহ ব্যহত হয়েছে।

তামিলনাড়ুর পাশাপাশি ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব পড়েছে অন্ধ্র প্রদেশেও। সেখানেও ভারী বৃষ্টিপাত হচ্ছে। রাজ্যের নীচু জায়গা থেকে কমপক্ষে ৭০৮জনকে সুরক্ষিত জায়গায় সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

তবে মুখ্যমন্ত্রী এমকে স্ট্যালিন জানিয়েছেন, রাজ্যে সেভাবে বড় মাপের কোনও ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব কাটার পর প্রয়োজনে ক্ষয়ক্ষতির হিসাব করা হবে এবং তারপরে কেন্দ্রের কাছে সাহায্য চাওয়া হতে পারে।

এনডিআরএফ ও এসডিআরএফ রাজ্যজুড়ে উদ্ধারকাজ চালাচ্ছে। পাশাপাশি রাজ্য সরকারের তরফেও ২৫ হাজার কর্মী মোতায়েন করা হয়েছে ঘূর্ণিঝড় সংক্রান্ত উদ্ধারকাজ ও সহায়তার জন্য।

অন্ধ্র প্রদেশেও ৩৩টি ত্রাণ শিবির তৈরি করা হয়েছিল। সেখানে প্রায় ৮০০ মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন। রাজ্যের চারটি জেলায় এনডিআরএফ ও এসডিআরএফের কর্মীদের মোতায়েন করা হয়েছে।

সতর্কতা জারি করা হয়েছে নেল্লোর, তিরুপতি, চিত্তুরে। মুখ্যমন্ত্রী জগন্মোহন রেড্ডিও রাজ্যের আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করেন ঘূর্ণিঝড়ের মোকাবিলা নিয়ে।

নিম্নচাপের প্রভাবে আজও সারাদিন তামিলনাড়ু ও অন্ধ্র প্রদেশে মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।