
দেবাশয়নী একাদশীতে ভগবান বিষ্ণুর সঙ্গে দেবী লক্ষ্মীকে খুশি করার জন্য কিছু ব্যবস্থা করা খুবই শুভ। একাদশী তিথিতে বৃহস্পতিবার বিশেষ যোগ গঠন হওয়ার কারণে এই তিথিতে প্রচুর অর্থপ্রাপ্তি হতে পারে। পেতে পারেন আরও বিশেষ সুযোগ-সুবিধা।

হিন্দু ক্যালেন্ডার অনুযায়ী, আষাঢ় মাসের শুক্লপক্ষের একাদশী তিথি থেকে পালিত হয় চতুর্মাস। আর কার্তিক মাসের শুক্লপক্ষের একাদশী তিথিতে শেষ হয়।

চলতি বছরের ২৯ জুন দেবশয়নী একাদশী থেকে শুরু হয়েছে চতুর্মাস। বাংলা ক্যালেন্ডার অনুযায়ী, শ্রাবণ, ভাদ্র, আশ্বিন, কার্তিক মাসের প্রথম দিক পর্যন্ত পালিত হবে চতুর্মাস। এই সময় নানা শুভ কাজ করা নিষিদ্ধ।

দেবশয়নী একাদশীতে তুলসী মূলের প্রতিকার গ্রহণ অত্যন্ত শুভ বলে মনে করা হয়। দেবশয়নী একাদশীতে স্নান করে তুলসী মূলে জল অর্পণ করুন। তুলসী মূলে কাঁচা দুধ নিবেদন করুন এবং সন্ধ্যায় ঘি প্রদীপ জ্বালান। সন্ধ্যায় তুলসীদেবীর আরতি করুন। এই প্রতিকার করলে ধন-সম্পদের দেবী মা লক্ষ্মী প্রসন্ন হন।

আজকের সন্ধ্যের সময় দেবী লক্ষ্মী ও ভগবান বিষ্ণুর পুজো করার পর, তুলসীর মূলে একটি লাল কাপড়ে মুড়িয়ে লক্ষ্মী ও তুলসী মন্ত্র আওড়িয়ে গলায় পড়ে নিন। এই প্রতিকার মেনে চললে সম্পদ বৃদ্ধি পায় ও আর্থিক অসুবিধা দূর হয়।

একাদশীর রাতে ভগবান বিষ্ণুর ছবির কাছে এক টাকার মুদ্রা রাখুন। রাতের দিকেই রাখতে হবে। পরের দিন সকালে এই মুদ্রাটি তুলে একটি লাল কাপড়ে বেঁধে সম্পত্তি রাখার জায়গায় রেখে দিন। এই প্রতিকার করলে দেবী লক্ষ্মী প্রসন্ন হন। কখনও অর্থ ও শস্যের অভাব হয় না।

দেবাশয়নী একাদশীতে দেবী লক্ষ্মীকে খুশি করতে গরুকে তাজা ঘাস ও শস্য খাওয়াতে পারেন। চাকরিতে সাফল্য পেতে গুড় ও ছোলা দান করুন। দুঃস্থদেচর বস্ত্র দান করুন। এই দিনে কোনও দরিদ্র ব্রাহ্মণকে হলুদ বস্ত্র দান করা অত্যন্ত শুভ বলে মনে করা হয়।

দেবশয়নী একাদশীর দিন সন্ধ্যের সময় ভগবান বিষ্ণুকে তুলসী পাতার মালা অর্পণ করুন। পরদিন সকালে মূল দরজায় এই মালা ঝুলিয়ে রাখুন। এমনটা করলে বাস্তুদোষ কেটে যায় অনায়াসে। বাস করেন ধনলক্ষ্মী।