
দীপাবলির দুদিন আগে গোটা দেশ জুড়ে পালিত হয় ধনতেরস উত্সব। প্রতি বছর কার্তিক মাসের কৃষ্ণপক্ষের ত্রয়োদশীর দিনে ধনতেরস পালিত হয়। আলো ও উদ্দীপনার সঙ্গে এই উত্সব ভিন্ন উপায়ে পালন করা হয়। এদিন সোনা, রূপা ও গাড়ি-বাড়ি কেনার রেওয়াজ রয়েছে।

দীপাবলি যেমন শুভ একটি তিথি। তেমনি ধনতেরসেরও রয়েছে বিশেষ গুরুত্ব।ধনতেরসের দিন পুষ্য নক্ষত্র যোগ গঠনের কারণে এদিন আরও বিশেষ হয়ে উঠছে। এছাড়া এদিন দুটি আরও অত্যন্ত শুভ যোগ তৈরি হচ্ছে।

মনে করা হয়, ধনতেরসের দিন সোনা, রুপো, সম্পত্তি, গাড়ি, বাসনপত্র ইত্যাদি কেনাকাটা করলে ঘরে সুখ-সমৃদ্ধি ও শান্তি ফিরে আসে। শুধু তাই নয়, গোটা বছরই দেবী লক্ষ্মীর আশীর্বাদও বর্ষিত হয়।

ক্যালেন্ডার অনুসারে, প্রতি বছর কার্তিক মাসের কৃষ্ণপক্ষের ত্রয়োদশীর দিনে ধনতেরাস পালিত হয়। এই দিন ধন্বন্তরী, কুবের দেব ও ধনলক্ষ্মীর বিশেষ পুজো করা হয়ে থাকে।

পঞ্চাঙ্গ অনুসারে, এবছর ধনতেরসের দিন এই তিন দেবদেবীর আরাধনা করার জন্য শুভ সময় শুরু হবে ১০ নভেম্বর, সকাল ৫টা ২৭ মিনিট থেকে ৭টা ৪৩ মিনিট পর্যন্ত।

ধনতেরাসে কেনাকাটার জন্য শুভ সময় শুরু হবে ১০ নভেম্বর, বেলা ১২টা ৩৫ মিনিট থেকে পরের দিন বেলা ১১টা ৫৭ মিনিট পর্যন্ত। বর্তমান সময়ে সোনা ও রূপার দাম বেশ চড়া। মধ্যবিত্তের হাতের নাগালের বাইরে। তাই সোনা ও রুপোর গয়না কেনার সামর্থ্য না থাকলে কোনও চিন্তার কিছু নেই।

এদিন পিতলের বাসন, কুবের যন্ত্র, পিতলের হাতি, বিশেষ করে ঝাড়ু কিনলে লাভবান হতে পারে। বিশ্বাস করা হয় যে এ দিনে ঝাড়ু কিনলে সারা বছরই দেবী লক্ষ্মীর আশীর্বাদ বজায় থাকবে।

যদি ধনতেরাসের দিন কোনও সোনা ও রুপোর মতো দামি জিনিস কিনতে না পারেন তাহলে অবশ্যই গোটা ধনে বাড়িতে এনে রোপন করতে পারেন। বিশ্বাস করা হয় যে এর ফলে আপনার কোনও অর্থের অভাব হয় না। এছাড়া গোমতী চক্র কিনলে দেবী লক্ষ্মী আপনা হতেই প্রবেশ করেন।

ধনতেরসের সন্ধ্যের সময় বাড়ির প্রধান প্রবেশদ্বারে বা উঠোনে যমের নামে প্রদীপ জ্বালানো উচিত। এর মাধ্যমে অকালমৃত্যুর ভয় দূর হয়ে যায়। পাশাপাশি যমরাজের অত্যাচার সহ্য করতে হবে না।