
যে কোনও ব্যক্তির জীবনে ব্রেকফাস্ট অতি প্রয়োজনীয়। চিকিৎসকরা বরাবর বলে থাকেন, সকালে ব্রেকফাস্ট করা অত্যন্ত প্রয়োজন। আসলে এক্ষেত্রে বলা হয়, ঘুম থেকে মানুষ উঠে যত বেশি পুষ্টিকর খাবার খাবেন, সারাদিন ঠিক ততটাই তরতাজা থাকতে পারবেন।

অনেকে ব্যস্ত থাকার কারণে সকালে কোনও কিছু না খেয়েই বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান। এখানেই করেন বড়সড় ভুল। কারণ ব্রেকফাস্ট না করলে শরীরে শক্তি বোধ হবে না। পাশাপাশি হবে একাধিক রোগ।

নিয়মিত সকালে জলখাবার না খেলে শরীরে নানা জটিলতা দেখা দিতে পারে। কেউ কেউ আবার বিভিন্ন সময় ওজন কমানোর জন্য ব্রেকফাস্ট করেন না। এটি অস্বাস্থ্যকর অভ্যাস।

কোনওমতেই দীর্ঘক্ষণ খালি পেটে থাকা উচিত নয়। এর ফলে হজমক্ষমতা ব্যাহত হয়। পাশাপাশি শরীরের উচ্চ ক্যালোরিযুক্ত খাবারের প্রয়োজন হয়। যার ফলে একটা সময় খিদে মেটানোর জন্য ফ্যাট ও চিনি জাতীয় খাবার অনেকে বেশি পরিমাণে খেয়ে ফেলেন। আর যে কারণে ওজন বেড়ে যায়।

পুষ্টিবিদদের মতে ব্রেকফাস্টে এমন খাবার রাখতে হবে, যা শরীরে প্রয়োজনীয় পুষ্টি জোগাবে। কেউ যদি ব্রেকফাস্ট না করেন, তা হলে দেহে ভিটামিন ও মিনারেলের ঘাটতি তৈরি হয়। আর সেই সময়ই শরীরে নানা রোগ হতে থাকে।

সকালে জলখাবার না খেলে মেটাবলিক সিন্ড্রোম দেখা দেয়। যার ফলে হজমজনিত সমস্যা দেখা দেয়। পেট ফাঁপা, বদহজম, অ্যাসিড রিফ্লাক্সের বহু সমস্যা মাথাচাড়া দেয়। সেইসঙ্গে মেটাবলিজম ধীর হয়ে যায় ও ওজন বাড়তে থাকে।

ডায়াবেটিসের রোগীর পরিমাণ দিন দিন বাড়ছে। এর নেপথ্যেও খাওয়া-দাওয়ার যোগ কয়েছে। বিশেষত সঠিক সময়ে খাবার না খাওয়া। ব্রেকফাস্ট না করলে আস্তে আস্তে টাইপ-২ ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়ে। রক্তে শর্করার মাত্রাকে নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য সকালে অতি অবশ্যই জলখাবার খেতে হবে।

ব্রেকফাস্ট না করার অভ্যাস একটা সময় ডিমেনশিয়ার ঝুঁকি বাড়ায়। গবেষণা বলছে, ঠিকমতো খাবার না খেলে, শরীরে পুষ্টির ঘাটতি হয়। তাতে ডিমেনশিয়ার মতো সমস্যাও দেখা দিতে পারে। স্মৃতিশক্তি লোপ পাওয়া থেকে শুরু করে ভাবনা-চিন্তার অসুবিধা, সিদ্ধান্ত নেওয়ার অক্ষমতার মতো বহুবিধ সমস্যা দেখা দিতে পারে। (All Pic Credit - Canva)