
আয়ুর্বেদ শাস্ত্র অনুযায়ী, চন্দনের নিজস্ব ঔষধি গুণাবলী রয়েছে। এছাড়া অনন্য সুগন্ধের জন্যও এর যথেষ্ট পরিচিতি রয়েছে। বিশেষত সৌন্দর্য বৃদ্ধির জন্য চন্দন ব্যবহার করার চল রয়েছে বহু পুরনো।

সৌন্দর্য বৃদ্ধি ও বজায় রাখতে অনেকেই চন্দনের প্যাক বানিয়ে মুখের ত্বকে ব্যবহার করেন। তবে ফেসপ্যাকে যদি চন্দনের তেল যোগ করা হয়, তাহলে তা আরও উপকারী। ত্বকের বিভিন্ন সমস্যা মেটাতে তো বটেই, মসৃণ ও অসামান্য ত্বক পেতে এই প্রাকৃতিক উপায় প্রয়োগ করতে পারেন।

ত্বক ও চুলের স্বাভাবিক উজ্জ্বলভাব ও সুস্থ রাখতে চন্দনের তেলের ব্যবহার করা হয়। চন্দন তেলের সৌন্দর্য বৃদ্ধির উপকারিতাগুলি অনেকের কাছে অজানা। তাই উপকারিতা জেনে নিয়ে ত্বকের যত্নের রুটিনে ব্যবহার করতে পারেন।

ত্বককে পুনরুজ্জীবিত করে: চন্দন তেলের প্রাকৃতিক গুণের জেরে কোষ ফের সতেজ হয়ে ওঠে। দীর্ঘসময়ের জন্য লাবণ্য বজায় রাখতে সাহায্য করে। ত্বকের তো বটেই বিশেষ করে চোখের নিচে ফাইনস লাইনস, বলিরেখা ও ডার্ক সার্কেল কমাতেও সাহায্য করে।

অ্যান্টি-ট্যানিং: চন্দন তেল ব্যবহার করলে ত্বকের ট্যানিং দূর করতেও কাজে লাগে। প্রাকৃতিক ও কার্যকরী উপাদান হিসেবে এই ভেষজ তেল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

ব্রণ কমাতে: ত্বকে ব্রণও ব্রেকআউট তৈরি হলে চন্দন তেল ব্যবহার করতে পারেন। এই ভেষজ তেলের প্রদাহ বিরোধী বৈশিষ্ট্য থাকার ফলে ব্রণের প্রবণতাকে প্রশমিত করে। ব্রণের চিকিত্সার জন্য উপকারী এই তেল। মুলতানি মাটিতে কয়েক ফোঁটা চন্দন তেল মিশিয়ে ব্যবহার করতে পারেন। এই প্যাকটি ক্লিনজার হিসেবেও মুখে লাগিয়ে ১০ মিনিট রেখে দিন। তারপর জল দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন।

মধু, লেবুর রস ও দইয়ের মধ্যে চন্দন তেল মিশিয়ে ভাল করে পেস্ট বানিয়ে নিন। ত্বক পরিষ্কার করার পর এই প্যাকটি ত্বকের উপর ব্যবহার করুন। ১৫ মিনিট অপেক্ষা করা পর ধুয়ে ফেলুন।

ত্বকের দাগ নিয়ে অনেকেই চিন্তিত থাকেন। চন্দন তেলের কয়েক ফোঁটা দিল ত্বকের কালো ছোপ ও দাগ দূর হয়ে যায়। রাতে শুতে যাওয়ার আগে ত্বকের চন্দনের তেল প্রয়োগ করুন। তাতেই বেশি উপকার পাবেন।