
স্বাস্থ্যের কথা ভেবে বেশিরভাগ মানুষ কম তেলে খাবার খাওয়া শুরু করেছেন। যে কারণে ননস্টিকের পাশাপাশি এয়ার ফ্রায়ারের চল বেড়েছে।

এয়ার ফ্রায়ারে কম তেলে মুখরোচক খাবার চটজলদি তৈরি হয়ে যায়। কোনও ঝক্কি পোহাতে হয় না। মাছ, মাংস, পনির, সবজি মশলা দিয়ে ম্যারিনেট করে একটু তেল মাখিয়ে নিলেই কাজ শেষ।

ডুবো তেলে ভাজা খাবার তৈরি করতেও অনেক সময় লাগে। এয়ার ফ্রায়ারে নির্দিষ্ট সময় সেট করে খাবার চাপিয়ে দিলেই কাজ শেষ। কিন্তু এয়ার ফ্রায়ারে তৈরি খাবার খাওয়া কি স্বাস্থ্যের জন্য ভাল?

এয়ার ফ্রায়ারে রান্না করলে কম তেল প্রয়োজন পড়ে। যাঁরা রান্নায় মেপে তেল খান বা কোলেস্টেরলে ভুগছেন, কিন্তু মুখরোচক খাবার খেতে পছন্দ করেন, তাঁরা এয়ার ফ্রায়ারে করা রান্না খেতে পারেন।

এয়ার ফ্রায়ারে রান্না করলে তেলের পাশাপাশি মশলাও কম লাগে। আপনার যদি ঘন ঘন বদহজমের সমস্যা থাকে, সেক্ষেত্রে এয়ার ফ্রায়ারে তৈরি করা রান্না খেতে পারেন।

সহজপাচ্য হলেও স্বাস্থ্যের জন্য সবসময় ভাল হয় না এয়ার ফ্রায়ারে তৈরি খাবার। এয়ার ফ্রায়ারে উচ্চ তাপমাত্রা খাবার রান্নায় হয়। অতিরিক্ত তাপমাত্রায় খাবারের পুষ্টিগুণ নষ্ট হয়ে যায়।

এয়ার ফ্রায়ারে খাবার ভাজলে তাতে অ্যাক্রিলামাইড নামের রাসায়নিক পদার্থের পরিমাণ ৯০ শতাংশ কমে যায়। উচ্চ তাপমাত্রায় অ্যাক্রিলামাইড ভেঙে যায় আর এখান থেকে ক্ষতিকারক কার্সিনোজেন তৈরি হয়। এটি স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকারক।

ডুবো তেলে খাবার ভাজলে খাবার মুচমুচে হয়। পাশাপাশি স্বাদ থাকে। কিন্তু এয়ার ফ্রায়ারে রান্না করলে খাবারের স্বাদ বদলে যায়। সুতরাং, খাদ্যরসিকদের এয়ার ফ্রায়ারে তৈরি খাবার নাও পছন্দ হতে পারে।