বাতাসে এখন বসন্তের আমেজ। পাতাঝরা ডালে এখন আগুন-রঙা ফুলের বিচ্ছুরণ। শহরের পলাশ ফুলের গাছ গুলো লালে ভরে গিয়েছে। বসন্তে পলাশ ফুল যে শুধু যে মন আনন্দ এনে দেয়, তা নয়। এই ফুলের স্বাস্থ্যগুণও অনেক।
আয়ুর্বেদে পলাশ ফুলের ওষুধি ব্যবহার রয়েছে। ফুলের পাশাপাশি এই গাছের ছাল, পাতা এবং বীজও নানা রোগের চিকিৎসায় ব্যবহার করা হয়। চলুন জেনে নেওয়া যাক, পলাশ ফুল, ছাল, পাতা এবং বীজের ওষধি ব্যবহার।
আয়ুর্বেদ পলাশ গাছের ফুল, ছাল, পাতা এবং বীজ চর্মরোগ, জ্বর, ডায়ারিয়া এমনকী ডায়াবেটিসের মতো রোগের বিরুদ্ধে ব্যবহার করা হয়। এই গাছের বিভিন্ন অংশে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি, অ্যান্টিফাঙ্গাল বৈশিষ্ট্য রয়েছে।
বসন্তের সময় চর্মরোগের সমস্যা সবচেয়ে বেশি দেখা যায়। একজিমা, চুলকানি, র্যাশ ইত্যাদি সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে আপনি পলাশ বীজ ব্যবহার করতে পারেন। এর বীজ পেস্ট করে ত্বকের উপর লাগালেই সমস্যা মিটবে।
রক্ত দূষিত হলে ত্বকে ব্রণ, ফুসকুড়ি, অ্যালার্জি সমস্যা দেখা দেয়। রক্তকে ভিতর থেকে পরিষ্কার করতে আপনি পলাশের বাকল ব্যবহার করতে পারেন। এটি রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।
অর্শের সমস্যায় কষ্ট পেলে আপনি পলাশ ফুল ব্যবহার করতে পারেন। পলাশ ফুলের মধ্যে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান রয়েছে। পাশাপাশি এতে এমন বেশ কিছু খনিজ রয়েছে, যা অর্শরোগের ব্যথা থেকে মুক্তি দিতে সাহায্য করে।
মূত্রনালির সংক্রমণে ভুগছেন? পলাশের কুঁড়ি ব্যবহার করুন। পলাশ ফুলের কুঁড়ি রোদে শুকিয়ে নিয়ে গুঁড়ো করে নিন। এতে আখের গুড় দিয়ে খেলে উপকার পাবেন। এতে ইউটিআই-এর সমস্যা দূর হয়ে যাবে।
গাঁটের ব্যথা থেকেও মুক্তি দিতে দারুণ কার্যকর পলাশ ফুলের কুঁড়ি। পলাশ ফুলের কুঁড়ি রোদে শুকিয়ে নিয়ে গুঁড়ো করে নিন। এতে মধু মিশিয়ে নিন। যে অংশে ব্যথা হচ্ছে তার উপর কুঁড়ির মিশ্রণের প্রলেপ লাগান। এতে ব্যথা থেকে মুক্তি পাবেন।