নীরব ঘাতকের মতো শরীরে বেড়ে চলে উচ্চ রক্তচাপ। সহজে এর কোনও উপসর্গ দেখা দেয় না। এটা মারাত্মক পরিস্থিতিতে পৌঁছে যায় যখন মাথা ঘোরা, বমি-বমি ভাব, নাক দিয়ে রক্ত পড়া, শ্বাসকষ্টের মতো একাধিক উপসর্গ দেখা দেয়। উচ্চ রক্তচাপের জন্য শরীরের অন্যান্য অঙ্গের উপরও খারাপ প্রভাব পড়ে।
সুস্থ স্বাভাবিক মানুষের শরীরে প্রেশার ১৪০/৮০ এমএম/এইচজি-এর নীচে থাকা উচিত। কিন্তু যদি আপনার ডায়াবেটিস কিংবা অন্য কোনও রোগ থাকে তখন সেটা ১৩০/৮০ কিংবা ১২৫/৭৫ প্রেশার হতে পারে। কিন্তু এই সংখ্যা অতিক্রম করলেই সাবধান হওয়া উচিত।
উচ্চ রক্তচাপ চোখের উপর প্রভাব ফেলে। উচ্চ রক্তচাপ রেটিনার অভ্যন্তরীণ আবরণ, চোখের পিছনের অংশের ক্ষতি করতে পারে। তাই রেটিনায় কোনও সমস্যা থাকলে তা উচ্চ রক্তচাপের লক্ষণ। এটি দৃষ্টিশক্তির উপর প্রভাব ফেলে।
উচ্চ রক্তচাপ হার্টের উপর প্রভাব ফেলে। ধমনীতে প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি এবং ধমনী সংকীর্ণ হওয়ার কারণে হৃৎপিণ্ডকে রক্ত পাম্প করতে আরও বেশি পরিশ্রম করতে হয়। হৃৎপিণ্ডের পেশী পুরু ও শক্ত হয়ে যায়। এর পাশাপাশি হৃদপিণ্ডের বাম দিকেও ধীরে ধীরে বড় হতে থাকে, যার ফলে রক্ত পাম্প করা কঠিন হয়ে পড়ে, যা হার্ট ফেলিওরের কারণ।
উচ্চ রক্তচাপ স্ট্রোকের একটি প্রধান কারণ। উচ্চ রক্তচাপের কারণে ধমনীর দেওয়াল দুর্বল হতে শুরু করে, যার কারণে এটি মস্তিষ্কে ফুলে যায়। একে অ্যানিউরিজম বলা হয়। উচ্চ রক্তচাপের কারণে এই অ্যানিউরিজমগুলি হঠাৎ ফেটে যায়, যা স্ট্রোকের দিকে পরিচালিত করে।
কিডনির সমস্যার পিছনে উচ্চ রক্তচাপ দায়ী হতে পারে। উচ্চ রক্তচাপ কিডনির লবণ নিয়ন্ত্রণ এবং শরীরে জল ধরে রাখার ক্ষমতাকে প্রভাবিত করে, যার ফলে উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা আরও খারাপ হয়। উচ্চ রক্তচাপ কখনও কখনও কিডনির ক্ষতিও করতে পারে।