
হিন্দু ধর্মে দানের বিশেষ গুরুত্ব ব্যাখ্যা করা হয়েছে। কথিত আছে, দান করলে মানুষের মঙ্গল হয়। জ্যোতিষশাস্ত্র অনুযায়ী, মঙ্গলবার ভগবান বজরংবলীকে উৎসর্গ করা হয়। এদিনে বেশ কিছু জিনিস দান করলে ঘরে আশীর্বাদ আসে ও সুখ-সমৃদ্ধির সব পথ খুলে যায়।

জ্যোতিষশাস্ত্র অনুসারে, সপ্তাহের প্রতিটি দিনই কোনও না কোনও দেবতাকে উত্সর্গ করা হয়। একইভাবে মঙ্গলবার হনুমানজিকে উৎসর্গ করা হয়।

কথিত আছে, এ দিনে পূজা-অর্চনা ও উপবাস ইত্যাদি করলে বজরঙ্গবলীর আশীর্বাদ পাওয়া যায় ও ঘরে সুখ-সমৃদ্ধি বজায় থাকে।

মঙ্গলবার ভগবান বজরঙ্গবলীর প্রিয় জিনিস দান করা একজন ব্যক্তির ভাগ্য উজ্জ্বল করে। এই বিশেষ দিনে কোন কোন জিনিস দান করা শুভ বলে মনে করা হয়, তা জেনে নিন এখানে...

কথিত আছে যে লাড্ডু হনুমানজির খুব প্রিয়। লাড্ডু নিবেদন করা হলে বজরঙ্গবলীর খুবই খুশি হন। জ্যোতিষ শাস্ত্র অনুসারে, যদি দীর্ঘদিন ধরে পদোন্নতি থেকে দূরে থাকেন ও উন্নতি থমকে যায়, তাহলে এই প্রতিকার মেনে চলতে পারেন।

তবে মঙ্গলবার হনুমানজির মন্দিরে বেসনের বা আটার লাড্ডু দান করুন। এতে ভগবান বজরঙ্গবলীর আশীর্বাদ আপনার উপর বর্ষিত হবে, আয় বৃদ্ধি পাবে। পদোন্নতি হবে খুব দ্রুত।

শাস্ত্র মতে, মঙ্গলবার নারকেল দান করা শুভ বলে মনে করা হয়। জ্যোতিষশাস্ত্র অনুসারে, পরিবারের কোনও সদস্য যদি দীর্ঘকাল ধরে স্বাস্থ্য সম্পর্কিত অসুস্থতায় ভুগছেন বা আপনি যদি দীর্ঘদিন ধরে স্বাস্থ্য সম্পর্কিত অসুস্থতায় ভুগছেন তবে মঙ্গলবার কোনও মন্দিরে নারকেল দান করুন। এতে ব্যক্তির স্বাস্থ্য উপকার হয় ও দ্রুত রোগ থেকে মুক্তি পেতে পারেন।


হিন্দু ধর্মে তুলসী গাছকে অত্যন্ত পবিত্র বলে মনে করা হয়। কথিত আছে যে তুলসী গাছে দেবী লক্ষ্মীর বাস। শাস্ত্র অনুসারে, মঙ্গলবার হনুমানজিকে তুলসী পাতা বা তুলসীর মালা অর্পণ করলে শুভ ফল পাওয়া যায়। তুলসী পাতা দান করলে মানুষের জীবনে অর্থ ও শস্যের অভাব হয় না।

শাস্ত্র মতে, যাদের জন্মকুণ্ডলীতে মাঙ্গলিক দোষ রয়েছে, তাদের সঠিক নিয়ম-কানুন মেনে মঙ্গলবার পুজো করা উচিত। কথিত আছে, এ দিনে লাল মসুর ডাল দান করলে ভগবান হনুমানের আশীর্বাদ পাওয়া যায়। কথিত আছে যে মঙ্গলবার এই ব্যবস্থাগুলি করলে মঙ্গলের অশুভ প্রভাব কমে যায় ও বিবাহে কোনও বাধা থাকে না।

শাস্ত্রে বলা হয়েছে বজরঙ্গবলীর কাছে লাল রং খুবই প্রিয়। কথিত আছে মঙ্গলবার লাল রঙের ফুল ও লাল রঙের কাপড় দান করা শুভ বলে মনে করা হয়। এতে করে ব্যক্তি মঙ্গলের দোষ থেকে মুক্তি পায়। এই প্রতিকার করলে বজরঙ্গবলী খুব প্রসন্ন হয়।